ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ফিরছে পেনশন বিক্রির ব্যবস্থা। এর ফলে স্বস্তি পাবেন ছ’লাখ ৩০ হাজার মানুষ। গত ২১ আগস্ট তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে অবস্থিত কর্মচারী ভবিষ্যনিধি অছি পরিষদ বা ইপিএফও অফিসে একটি বৈঠক হয়। তাতে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া প্রভিডেন্ট ফা্ন্ড প্রকল্পে নির্ধারিত ন্যূনতম পেনশনের পরিমাণ ১০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করার সুপারিশও করা হয়েছে। যদিও কর্মচারী সংগঠনগুলি তা ন্যূনতম ৬০০০ টাকা করার দাবি করেছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। সেই দাবি পূরণ না হলেও পেনশন বিক্রির ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্তে খুশির হওয়া ছড়িয়েছে কর্মচারী মহলে।
এপ্রসঙ্গে ইপিএফও তরফে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালের ২১ আগস্ট হায়দরাবাদে ইপিএফও-এর সর্বোচ্চ নীতি প্রণয়ন কমিটি বা সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিস (সিবিটি)-এর একটি বৈঠক হয়। তাতে পেনশন বিক্রির ব্যবস্থা ফিরিয়ে নিয়ে আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর জন্য ‘কর্মচারী ভবিষ্যনিধি প্রকল্প ১৯৯৫’-এর সংশোধনের প্রস্তাবও গৃহীত হয়েছে। এর ফলে উপকৃত হবেন ছ’লাখ ৩০ হাজার মানুষ।
আগে থাকলেও ২০০৯ সাল পেনশন বিক্রির সুবিধা বন্ধ করে দেয় পিএফ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, কর্মচারীদের দাবি মেনে ফের ১০ বছরের মাথায় ফের পুরনো পথেই ফিরতে হচ্ছে তাদের। বৈঠকে পিএফ প্রকল্পে ন্যূনতম পেনশন বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে কর্মচারী সংগঠনগুলির প্রতিনিধিরা কথা বলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী তথা অছি পরিষদের চেয়ারম্যান সন্তোষকুমার গাঙ্গোয়ারের সঙ্গে। তিনি এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারমণের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন অছি পরিষদের সদস্যদের।
বৈঠকে কর্মচারীরা শ্রমমন্ত্রীকে জানান, এখন জাতীয় পেনশন স্কিমের আওতায় থাকা অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের মাসে ন্যূনতম ১০০ টাকা করে জমা দিতে হয়। এর বদলে অবসরের পরে তাঁদের মাসে ৩,০০০ টাকা করে পেনশন দেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেখানে পিএফের সদস্যরা পেনশন খাতে প্রতিমাসে তার কয়েক গুণ বেশি টাকা জমা দেন। তাই তাঁদের ক্ষেত্রে অন্তত মাসে ৬,০০০ টাকা ন্যূনতম পেনশন হওয়া উচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.