Advertisement
Advertisement

Breaking News

কানহাইয়া কুমার

কেজরিওয়াল সরকারকে ধন্যবাদ, দেশদ্রোহিতা মামলার দ্রুত শুনানির আরজি কানহাইয়ার

বৃহত্তর সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতেই এসব করা হচ্ছে, তোপ সিপিআই নেতার।

'Ensure fast trial', says Kanhaiya Kumar on sedition charge
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:February 29, 2020 12:01 pm
  • Updated:February 29, 2020 12:08 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা চালানোর জন্য দিল্লির আপ সরকারকে ধন্যবাদ জানালেন কানহাইয়া কুমার। কানহাইয়ার বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা চালানোর অনুমতি দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার। দিল্লি পুলিশ এবার দেশদ্রোহিতার মামলা শুরু করতে পারবে। আর এর জন্য দিল্লি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বাম ছাত্রনেতার টুইট, দ্রুত বিচারপ্রক্রিয়া শেষ করা হোক। টিভি চ্যানেলের বিতর্কে বিচার না বসিয়ে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট এই মামলার শুনানি হোক।

সিপিআই নেতা টুইট করে জানিয়েছেন, ‘দেশদ্রোহিতার মামলা চালানোর জন্য অনুমতি দেওয়ায় ধন্যবাদ। দিল্লি পুলিশ এবং সরকারি কৌঁসুলিদের কাছে আবেদন, এবার এই মামলাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হোক। ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে এর শুনানি হোক। টিভি চ্যানেলে ‘আপনার আদালত’ না বসিয়ে আইনের আদালতে এর দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক। সত্যমেব জয়তে!’ তবে এর পিছনে রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। লিখেছেন, দেশদ্রোহিতার মামলা ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে শুনানি করা দরকার। তাহলে দেশবাসী জানবে, কীভাবে রাজনৈতিক ফায়দার জন্য দেশদ্রোহিতা আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে। আসল ইস্যু থেকে নজর ঘোরাতেই এসব করা হয়।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে সংসদ জঙ্গি হামলার মূল চক্রী আফজল গুরুর স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। তারপর ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের মিছিল থেকে দেশবিরোধী স্লোগান তোলার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ওঠে, এই দেশবিরোধী কার্যকলাপের নেপথ্যে ছিলেন ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার, সঙ্গে দুই ছাত্র উমর খালিদ এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ওই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে তাঁদের নেতৃত্বে যে স্লোগান উঠেছিল, তা আইনের চোখে দেশদ্রোহিতার বার্তা দেয়। এই অভিযোগ তুলে তিনজন-সহ আরও ৪ জনের বিরুদ্ধে UAPA ধারায় মামলা দায়ের করে দিল্লির বসন্তকুঞ্জ থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়ে কয়েকদিন জেলেও ছিলেন কানহাইয়া। এই সময়ে তাঁদের গবেষণার কাজও বাধার মুখে পড়ে। সময়মতো গবেষণা শেষ করতে পারেনি, এই অভিযোগে উমর খালিদের রিসার্চ পেপারই প্রথমে জমা নেওয়া হয়নি। এমনই নানা সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে ৭ মেধাবী ছাত্রকে।

[আরও পড়ুন: ‘দেশবিরোধী’ স্লোগানের অভিযোগ, কানহাইয়াদের বিরুদ্ধে তদন্ত এগোতে সায় কেজরিওয়ালের]

২০১৯ সালে দিল্লি পুলিশ এঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। ততদিনে কানহাইয়া কুমার তরুণ বামপন্থী নেতা হিসেবে সর্বভারতীয় স্তরে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ফের দিল্লি পুলিশ এই মামলার তদন্ত শেষ করতে তৎপর হয়ে উঠেছে। তৃতীয়বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চিঠি লিখে তদন্তে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয় দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের তরফে। যদিও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পুরুষোত্তম পাঠক পুলিশকে মনে করিয়ে দিয়েছিলেন এই মামলাটির কথা। সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি চাওয়ার কথাও বলা হয়। সেইমতো কেজরিওয়াল সরকারের থেকে অনুমতি নেয় পুলিশ। ফলে নতুন করে কানহাইয়াদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলার শুনানি শুরু হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement