ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের আগে নজিরবিহীন বিবাদে ইন্ডিয়া জোটের দুই শরিক আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। জোটের দুই শরিকের এই বিবাদে রীতিমতো ক্ষুব্ধ ইন্ডিয়া জোটেরই শরিক ন্যাশনাল কনফারেন্স। জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা বলেই দিলেন, এই যদি পরিস্থিতি হয়, তাহলে ইন্ডিয়া জোট ভেঙে দেওয়া হোক।
বস্তুত, লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে যে ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছিল, ভোটের পর সেই জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি একাধিক রাজ্যের নির্বাচনে ইন্ডিয়া জোটের শরিকদের মধ্যে ঐক্যের ছবি চোখে পড়েনি। হরিয়ানার নির্বাচনে শরিকদের জন্য আসন ছাড়েনি কংগ্রেস। মহারাষ্ট্রের নির্বাচনেও তিন প্রধান শরিক ছাড়া অন্য কোনও দলের সঙ্গে মসৃণ জোট হয়নি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে লোকসভা ভোটপর্ব মেটার পর সেভাবে ইন্ডিয়া জোটের যৌথ কর্মসূচি চোখে পড়েনি। এমনকী সার্বিকভাবে ইন্ডিয়ার শীর্ষ নেতাদের বৈঠকও হয়নি। উলটে এই কয়েকমাসে একধিকবার ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গীরা একে অপরের দিকে কটাক্ষ ছুঁড়েছেন।
দিল্লি বিধানসভা ভোটের আগে সেই কাদা ছোড়াছুড়ি অনেকটা বেড়েছে। তাতে বিরক্ত ওমর আবদুল্লা। তিনি বলছেন, “লোকসভার পর সেভাবে ইন্ডিয়া জোটের কোনও বৈঠক হয়নি। আমাদের এজেন্ডা ঠিক হয়নি। আমার যতদূর মনে হয় এই জোটের কোনও সময়সীমা দেওয়া ছিল না। যদি সেটা শুধু লোকসভা ভোটের জন্য হয়ে থাকে, তাহলে আমার মনে হয় আমাদের একসঙ্গে বসে আলোচনা করে জোট ভেঙে দেওয়া উচিত।” ওমরের সাফ কথা, যদি জোট থেকে থাকে তাহলে সবার একসঙ্গে লড়াই করা উচিত। নাহলে জোট ভেঙে দেওয়া উচিত।
আসলে দিল্লিতে এবার আপের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমেছে কংগ্রেস। গত দুই বিধানসভা নির্বাচনে খাতা খুলতে না পারলেও এবার আপ-বিজেপির বাইনারি ভাঙতে কার্যত সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে কংগ্রেস। দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতাকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে দিল্লির নির্বাচনী লড়াইয়ে। প্রচারের জন্য আনা হচ্ছে ভিনদেশের নেতাদেরও। যদিও আপ কংগ্রেসকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। কেজরিওয়াল বলছেন, কংগ্রেস দিল্লিতে লড়ছে বিজেপির দোসর হিসাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.