ফাইল ফটো
সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: মাওবাদী (Maoist) দমনে বড়সড় সাফল্য মিলল বিহারে। গয়ার (Gaya) বারাচাট্টির জঙ্গলে এনকাউন্টারে খতম এক শীর্ষ মাও কম্যান্ডার-সহ মোট তিন মাওবাদী। উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্রও।
মাওবাদী ডেরার খবর পেয়ে শনিবার মধ্যরাতে গয়ার মাথুরি গ্রাম সংলগ্ন বারাচাট্টি জঙ্গলে হানা দেয় যৌথবাহিনী। এনকাউন্টার (Encounter) শুরু হয়। বিহার পুলিশ ও কোবরা ব্যাটেলিয়ান যৌথবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদিদের গুলির লড়াই চলে দীর্ঘক্ষণ। রবিবার ভোররাত অবধি গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। গুলির লড়াই শেষে এদিন ভোররাতে জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি করে যৌথবাহিনী।
যৌথবাহিনীর তল্লাশি চলাকালীন এক জোনাল কম্যান্ডার-সহ তিন জনের দেহ উদ্ধার হয়। মাওবাদী জোনাল কম্যান্ডারের নাম অলোক যাদব। তার উপর বেশকিছুদিন ধরেই নজর রাখছিল পুলিশ। বাকি দুজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। তাদের কাছ থেকে একটি ইনসাস রাইফেল ও একটি একে-৪৭ উদ্ধার করে যৌথবাহি্নী। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, তল্লাশি অভিযান চলছে।
বিহারের বেশকিছু এলাকায় এখনও মাওবাদীদের দাপট রয়েছে। বিভিন্ন সময় একাধিক গ্রামে এসে হামলা করে তারা। সরকারি সম্পত্তি নষ্টের পাশাপাশি লুঠপাটও করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মোতায়েন রয়েছে কোবরা বাহিনীও। বিহার সংলগ্ন ছত্তিশগড়েও অব্যাহত রয়েছে তাদের দাপট। সেখান থেকে সম্প্রতি এনকাউন্টারের খবর এলেও বিহারে আপাতত শান্তই। তবে ভোটের আগে সে রাজ্যের রাজনৈতির নেতাদের খুনের ছক কষেছিল বলে গোয়েন্দাদের কাছে খবর ছিল।
বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Elections) সময় শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের উপর হামলা চালিয়ে তাঁদের খুন করার ষড়যন্ত্র করছিল মাওবাদীরা। ভোটের প্রচারে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়ানোর সময় ভিভিআইপি নেতাদের উপর হামলা চালানোর ছক কষছে তারা। এর জন্য ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়গুলিতে আইইডি পুঁতে রাখারও পরিকল্পনাও নিয়েছিল। এছাড়া রাজনৈতিক দলগুলির জনসভা, নিরাপত্তরক্ষীদের অস্থায়ী শিবির ও প্রত্যন্ত প্রান্তের ভোট কেন্দ্রগুলিতে গেরিলা হামলার ছক কষছিল তারা। তাদের নাশকতার তালিকায় জনবসতি এলাকাগুলিও ছিল। তবে বিহারের নির্বাচন মোটামুটি শান্তিতেই মিটেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.