Advertisement
Advertisement

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর কাটল অন্ধকার, বিদ্যুৎ পৌঁছাল কাশ্মীরের এই গ্রামে

অনন্তনাগ জেলায় পাহাড়ি গ্রামে পৌঁছাল আলো!

Electricity reaches Kashmir village after 75 year's of Independent | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:January 9, 2023 6:20 pm
  • Updated:January 9, 2023 6:20 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সূর্য, চাঁদ আর আগুন, এই ছিল আলোর উৎস। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর কাটল গ্রামের অন্ধকার। কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বিদ্যুৎ পৌঁছল কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) অনন্তনাগ জেলার (Anantnag) পাহাড়ের উপরের ছোট্ট গ্রাম তেথানে (Tethan)। আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম তেথানে সাকুল্যে ২০০ মানুষের বাস। ছোট থেকে বড়, গ্রামবাসীদের মুখ এখন বাস্তবিক আলোয় উজ্জ্বল। গভীর রাতেও! তাঁরা ধন্যবাদ জানাচ্ছেন সরকারকে। 

গ্রামবাসীরা জানান, গত ৭৫ বছর জঙ্গলের জ্বালানি কাঠে হত রান্না। রাতের আলো মানে কুপি বা লন্ঠন। যদিও পাহাড়ের উপর থেকে দেখা যেত দূরের শহরের দিনের মতো আলোর ঝলকানি। এতদিনে অভাব পুরণ হল। বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে গ্রামে। স্বভাবতই খুশি গ্রাববাসীরা। ফজুলুদ্দিন খান নামের জনৈক গ্রামবাসী বলেন, “আমরা প্রথমবার বিদ্যুৎ দেখলাম। আমাদের সন্তানেরা এবার বিদ্যুতের আলোয় পড়তে পারবে। ওরা খুব খুশি হয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে কৃতজ্ঞ।” 

Advertisement

[আরও পড়ুন: দিল্লি দুর্ঘটনায় মৃত অঞ্জলির বাড়িতে চুরি! প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা, অভিযোগ পরিবারের]

তেথান গ্রামে প্রথমবার বিদ্যুতের আলো জ্বলে উঠতেই আনন্দে হইচই শুরু করেন গ্রামবাসীরা। অনেককে নাচতেও দেখা যায়। তেথানেরই বাসিন্দা জাফর খান বলেন, “আমার ৬০ বছর বয়স। প্রথমবার বিদ্যুতের আলো দেখলাম। আমরা এলজি সাহেব এবং ডিসি সাহেবের কাছে কৃতজ্ঞ ।থাকব আজীবন। বিদ্যুৎ দপ্তরকেও ধন্যবাদ জানাই। আগের প্রজন্ম চমৎকার বিদ্যুতের আলো দেখে যেতে পারেনি।” যে সুযোগ পাচ্ছে বর্তমান প্রজন্ম।

[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ, নজিরবিহীনভাবে তামিলনাড়ুর বিধানসভা ছাড়লেন রাজ্যপাল]

অনন্তনাগ শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের উপরে রীতিমতো দুর্গম জায়গায় অবস্থিত গ্রাম তেথান। সেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে রীতিমতো অসাধ্য সাধন করেছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। বৈদ্যুতিক বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলো পৌঁছতে ৬৩টি ট্রান্সফর্মার দেওয়া হয়েছে গ্রামে, ব্যবহৃত হয়ে ৩৮টি হাইটেনশন তার। সমগ্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ব্যবহার করা হয়েছে ৯৭টি মতো বৈদ্যুতিক স্তম্ভ। এর ফলেই গ্রামের ৬০টি বাড়িতে পৌঁছেছে আলো। কেটেছে বিগত ৭৫ বছরের অন্ধকার। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement