সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরু থেকেই দেশব্যাপী লকডাউনের পক্ষে ছিলেন না প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)। এর ফলে সাধারণ মানুষকে যে বিপুল সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে, তা নিয়ে আওয়াজ তুলেছেন অনেক আগেই। এবার তিনি প্রশ্ন তুললেন দেশজুড়ে জারি হওয়া এই বিধিনিষেধের কার্যকারিতা নিয়েই। প্রশান্ত কিশোর বলছেন, সরকার যে দাবি করছে লকডাউনের ফলে সংক্রমণ দ্বিগুণ হওয়ার গতি অনেকটা কমেছে, তার সারবত্তা নেই। সংক্রমণের সংখ্যাটা তুলনামূলক কম মনে হওয়ার কারণ পরীক্ষা কম হওয়া।
पिछले एक महीने के #lockdown के बावजूद #Covid_19 के कुल 3.84 lacs tests में करोना +ve लोगों का प्रतिशत ~3.5 times बढ़ा है। Fatality is up from 4 to 543!
Till Mar 20th
Tests – 14876; Positive – 1.33%Mar 20 to April 19th
Tests – 3.69 lacs; Positive – 4.72%We are #NotOutofWoods pic.twitter.com/COu8Uuv2G8
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) April 20, 2020
উল্লেখ্য, সোমবারই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বুলেটিনে দেশের কিছু জায়গায় সংক্রমণের হার কমেছে বলে উল্লেখ করা হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লব আগরওয়াল (Lav Agarwal) বলেন, ‘সংক্রমণ ঠেকাতে আগেভাগে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত অনেক কাজে দিয়েছে। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে যেখানে ৩.৪ দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছিল তা এখন ৭.৫ দিনে হচ্ছে। কেন্দ্রের এই দাবিকেই খন্ডন করেছেন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা। তাঁর দাবি আসলে সংক্রমণের হার কমছে না। বরং আগের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রেরই দেওয়া একটি পরিসংখ্যান হাতিয়ার করেছেন তিনি।
The CLAIM of India NOW taking longer to double #Corona positive cases is problematic; it COULD simply be a result of not testing enough
Better to follow:
– % Positive in Tests done: Up from 1.3% to ~4.6%
– Geographical Spread: 408 districts with +ve cases; highest till date
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) April 21, 2020
তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা বলছেন, “গত ৩ একমাসে লকডাউন থাকা সত্বেও এক লক্ষ পরীক্ষার পিছনে সংক্রমণ সাড়ে তিন গুণ বেড়েছে। একমাসে মৃতের সংখ্যা ৪ থেকে বেড়ে ৫৪৩ হয়ে গিয়েছে। গত ২০ মার্চ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছিন ১৪ হাজার ৮৭৬ জনের। এদের মধ্যে সংক্রমণের হার ছিল ১.৩৩ শতাংশ। ২০ মার্চ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৩ লক্ষ ৬৯ হাজার। সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ৪.৭২ শতাংশ।” পিকের দাবি, কেন্দ্র যে বলছে সংক্রমণের হার কমেছে, সেটি আসলে পরীক্ষার হার কমে যাওয়ায় ফলশ্রুতি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.