সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোট অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ করতে 4M ফর্মুলা দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajeev Kumar)। বলা ভালো, চারটি দুশ্চিন্তার কথা বললেন তিনি। কী দুশ্চিন্তা? এক, মাসল পাওয়ার। দুই, মানি পাওয়ার। তিন, মিসইনফরমেশন। এবং চার এমসিসি (নির্বাচনী আচরণবিধি) ভঙ্গ। এর মধ্যে মাসল পাওয়ার রুখতে কড়া বন্দোবস্ত করছে কমিশন। তবে চিন্তা মানি পাওয়ার নিয়ে।
এদিন কমিশন (Election Commission) জানিয়েছে, ভারতীয় নির্বাচনে সাম্প্রতিক অতীতে টাকার ব্যবহার দেদার বেড়েছে। সেটা নিয়ন্ত্রণ করাটাই আসল চ্যালেঞ্জ। উদাহরণ হিসাবে কমিশন বলছে, দেশে শেষ যে ১১টি রাজ্যে ভোট হয়েছে, সেই রাজ্যগুলিতে স্রেফ বেআইনিভাবে বাজেয়াপ্ত হওয়ার অঙ্কটা হল ৩৪০০ কোটি। যা পাঁচ বছর আগের নির্বাচনের থেকে প্রায় ৮৩৫ শতাংশ বেড়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই বিপুল টাকা যে বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তার একটা বড় অংশ এসেছে বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্য থেকে।
গত বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে গুজরাটে। বিজেপির গড়ে ৮০২ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে নির্বাচন কমিশন। টাকা উদ্ধারের নিরিখে দ্বিতীয় তেলেঙ্গানা (৭৭৮ কোটি)। সেখানে অবশ্য এবার ক্ষমতায় এসেছে কংগ্রেস। এই তালিকায় তৃতীয় আবার বিজেপি শাসিত রাজস্থান। সেখানে উদ্ধার হয়েছে ৭০৪ কোটি। কংগ্রেস শাসিত আরেক রাজ্য কর্নাটকে ৩৮৪ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এর বাইরে বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে (৩৩২ কোটি), ছত্তিশগড় (৭৮ কোটি), ত্রিপুরা (৪৫ কোটি) বিজেপি জোট শাসিত মেঘালয় (৭৪ কোটি), মিজোরামে (১২৩ কোটি) বিপুল টাকা উদ্ধার করার তথ্য দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের ধারণা এই লোকসভা নির্বাচনেও (2024 Lok Sabha Election) বিপুল পরিমাণ ‘মানি পাওয়ার’ ব্যবহার হতে পারে। সেটা রুখতেই নির্বাচন কমিশন সমস্ত কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং নিরাপত্তারক্ষীদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.