সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিচারব্যবস্থা, সিবিআই, আরবিআইয়ের পর এবার কি নির্বাচন কমিশনেও হস্তক্ষেপ করছে মোদি সরকার? নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসার সিদ্ধান্তের পর ফের এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। অশোক লাভাসা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরার বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে নিজেকে কমিশনের বৈঠক থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের বিধিভঙ্গের অভিযোগ সংক্রান্ত কোনও বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকবেন না। ইতিমধ্যেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে একথা জানিয়ে দিয়েছেন লাভাসা।
বেশ কিছুদিন ধরেই বিরোধীরা অভিযোগ করছিল, নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপির বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না নির্বাচন কমিশন। মোদির প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। বিরোধীদের এক নিয়মে বিচার হচ্ছে, শাসকের বিচার হচ্ছে অন্য নিয়মে। কমিশন সে অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু, কিছুদিন আগে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে টনক নড়ে রাজনৈতিক মহলের। যাতে বলা হয়, অন্তত ৬টি অভিযোগের ক্ষেত্রে মোদিকে শাস্তি দেওয়ার পক্ষে ছিলেন লাভাসা, কিন্তু তাঁর মতামতকে উপেক্ষা করেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে অন্য দুই নির্বাচন কমিশনারের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের মোট সদস্য ৩ জন। একজন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। অপর দু’জন হলেন অশোক লাভাসা এবং সুশীল চন্দ্র। মোদির বিরুদ্ধে ওঠা অন্তত গোটা ছয়েক অভিযোগে লাভাসা, সুশীল চন্দ্র এবং সুনীল অরোরার বিপক্ষে মত দিয়েছিলেন। কিন্তু, অভিযোগ লাভাসার সেই মত নাকি রেকর্ডই করা হয়নি। মতামতকে গুরুত্ব না দেওয়ার কমিশনের বৈঠক থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করলেন তিনি।এরপরই সরব হলেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিভিন্ন স্বশাসিত সংস্থার অবক্ষয়ই মোদি জমানার পরিচিতি হয়ে গিয়েছে।আরবিআই গভর্নর পদত্যাগ করছেন, সিবিআই ডিরেক্টরকে সরানো হচ্ছে, সিভিসি ভুল রিপোর্ট দিচ্ছে।নির্বাচন কমিশনের এখন উচিত মুখ বাঁচাতে লাভাসার বয়ান রেকর্ড করা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.