সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: DYFI নেতার মৃত্যু ঘিরে উত্তাল বাংলার রাজনীতি। নতুন জোয়ার এসেছে বামেদের আন্দোলনেও। ক্ষোভের আঁচে পুড়ছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন। এবার সেই ক্ষোভের আঁচ পৌঁছে গিয়েছে দিল্লিতেও। বাম নেতার মৃত্যুর প্রতিবাদে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে-তে (JNU) পুড়ল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (WB CM Mamata Banerjee) কুশপুত্তলিকা। উঠল স্লোগানও। পাশাপাশি মঙ্গলবার দুপুরে হ্যালি রোডের বঙ্গভবন ঘেরাওয়ের ডাক দিল ডিওয়াইএফআই ও এসএফআই।
চাকরি, শিক্ষা-সহ একাধিক দাবিতে ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল বাম ছাত্র সংগঠন। বামেদের অভিযানকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল কলকাতা। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল তিলোত্তমা। বাম ছাত্র-যুবদের আটকাতে ব্যাপক লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠেছিল পুলিশের বিরুদ্ধে। জলকামানের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। যাতে আহত হন প্রচুর ছাত্র-যুব। সেই চোটেই বাঁকুড়ার অটোচালক মইদুলের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার প্রতিবাদেই এদিন JNU-তে বাংলার পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা। পোড়ানো হয় মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুলও। মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গভবন ঘেরাওয়ের ডাকও দেওয়া হয়। সোমবার বিকেল থেকেই বঙ্গভবনের সামনে দেখা যায় পুলিশি প্রহরা।
২০১৩ সালের ২ এপ্রিল এসএফআই নেতা সুদীপ্তর মৃত্যুর পরও বঙ্গভবন ঘেরাও করেছিলেন দিল্লির বামপন্থী ছাত্র-যুবরা। সেদিন বঙ্গভবনের রাশ কার্যত নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিলেন তাঁরা। গত শুক্রবার বিকেলেও একইভাবে দিল্লির পুরনো বঙ্গভবন ঘেরাও করেন এসএফআই কর্মী-সমর্থকরা। সেদিন রিসেপশনের সামনে দাঁড়িয়ে ক্রমাগত পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন তাঁরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসে পুলিশ। তাঁদের সামনেই স্লোগানের পর বক্তব্য রাখেন ঐশি ও আরেক ছাত্রনেতা। সেখানে তাঁরা হুঁশিয়ারি দিয়ে গিয়েছিলেন যে, এই ধরনের ঘটনা পরে হলে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিন মইদুলের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে দেওয়া হয়। এবার দেখার সরস্বতী পুজোর দুপুরে এই আন্দোলনকে ঘিরে দিল্লিতে কী পরিস্থিতি হয়।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.