Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাজ ঠাকরে

কোহিনূর টাওয়ার্স কাণ্ডে রাজ ঠাকরের বিরুদ্ধে তদন্তে ইডি

কোনও বিনিয়োগ ছাড়াই ২০ কোটি টাকা মুনাফা লুটেছেন এমএনএস সুপ্রিমো।

ED to investigate Kohinoor Towers probe against Raj Thackeray
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:August 28, 2019 5:49 pm
  • Updated:August 28, 2019 5:49 pm  

তপন বকসি, মুম্বই: মুম্বইয়ের দাদরে কোহিনূর মিলের জায়গায় তৈরি হওয়া ‘কোহিনূর টাওয়ার্স’-এর ব্যবসায় কোনও বিনিয়োগ ছাড়াই ২০ কোটি টাকা মুনাফা লুটেছেন রাজ ঠাকরে। এই মর্মে অভিযোগ তুলে তার তদন্তে নেমেছে ‘এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট’ বা ইডি। ইডি পরিষ্কার অভিযোগ করেছে যে, মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা বা এমএনএস সুপ্রিমো রাজ ২০০৮ সালে ‘কোহিনূর সিটিএনএল’-এর সহযোগী পার্টনার ‘মাতশ্রী রিয়েলটরস’-এ কোনও অর্থ বিনিয়োগ না করেই স্রেফ কুড়ি কোটি টাকার লভ্যাংশ নিয়ে নিয়েছেন। এই ‘কোহিনূর সিটিএনএল’ দাদরের ‘কোহিনূর টাওয়ার্স’ তৈরি করছে।

‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড'(আইএফ অ্যান্ড এসএল) এবং ‘নন ব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল কোম্পানি’ (এনবিএফসি)-র সঙ্গে ‘কোহিনূর সিটিএনএল’-এ টাওয়ার্স তৈরির ব্যবসায় রাজ ঠাকরেদের কোম্পানি ‘মাতশ্রী রিয়েলটরস’-এর আর্থিক লেনদেনের মধ্যে যে অনিয়ম রয়েছে, সেই ব্যাপারে তদন্তে নেমে ইডি রাজ ঠাকরেকে তলব করেছিল প্রথমে তাদের ব্যালার্ড পিয়ারের অফিসে। আবারও ইডি রাজ ঠাকরেকে শিগগিরি তলব করতে চলেছে বলে খবর। তাঁদের এই রিয়েলটরস কোম্পানি ওই প্রজেক্টে বিনিয়োগের জন্য মোট চার কোটি টাকা বিভিন্ন জায়গা থেকে ঋণ নিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। এরমধ্যে তিন কোটি টাকা তারা নিয়েছিল একটি কোঅপারেটিভ ব্যাংক থেকে। বাকি এক কোটি টাকা তারা কার কাছ থেকে নিয়েছিল, সেটা নিয়েই তদন্ত চালাচ্ছে ইডি।

Advertisement

২০০৫ সালে রাজেদের ‘মাতশ্রী রিয়েলটরস’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর যোশীর ছেলে উন্মেষ যোশীর কোহিনূর গ্রুপ এবং অন্য আর একটি কোম্পানি মিলে ‘কোহিনূর প্রজেক্টস প্রাইভেট লিমিটেড'(কেপিপিএল)নামের যৌথ উদ্যোগ নেয়। এই উদ্যোগে তাদের ৫১ শতাংশ শেয়ার ছিল। বাকি ৪৯ শতাংশ ইক্যুয়িটি শেয়ার ছিল আইএল অ্যান্ড এফএসের। ২০০৮ সালে মাতশ্রী তাদের স্বত্ব বেচে দেয়। বিনিময়ে পায় ৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যেকার কুড়ি কোটি টাকা যায় রাজ ঠাকরের কাছে কোম্পানির একজন শেয়ার হোল্ডার হিসাবে। বাকি টাকা ভাগ হয় মাতশ্রীর বাকি ডিরেক্টরদের মধ্যে। এই লভ্যাংশের টাকা রাজ কাজে লাগায় তাঁর অন্য অস্থাবর সম্পত্তি এবং অন্য ব্যবসায়।

মাতশ্রীতে তাঁর অন্যান্য পার্টনাররাও তাঁদের অস্থাবর সম্পত্তি আর অন্য ব্যবসায় লাগান। ইডি এখন তদন্ত করে দেখতে চাইছে অন্য শরিকদের অন্য ব্যবসাতেও রাজেরও কোনও যোগ আছে কিনা। ২০০৮ সালে ‘আইএল অ্যান্ড এফএস’ যারা কোহিনূর সিটিএনএলে ২২৫ কোটি বিনিয়োগ করেছিল, তাদের স্বত্ব মাত্র ৯০ কোটিতে বেচে দিয়ে এই উদ্যোগে তাদের লোকসানের কথা ঘোষণা করে দেয়। এই উদ্যোগ থেকে সরে দাঁড়ানোর সময় ‘আইএল অ্যান্ড এফএস’ কোহিনূর সিটিএনএলকে ৩৫ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল। মাতশ্রীর পক্ষ থেকে রাজন শিরোদকর জানান, চার নয়, মাতশ্রী কোহিনূর সিটিএনএলে চল্লিশ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিল। এই চল্লিশ কোটির মধ্যে ৩৬ কোটি সরাসরি বিনিয়োগ করে তাঁদেরই কোনও একজন সাহায্যকারী। যিনি বা যাঁরা কোনও চুক্তিপত্র তৈরি করেননি। প্রাথমিকভাবে রাজন ইডির জিজ্ঞাসায় আরও বলেছিলেন, ধরে নেওয়া যেতে পারে এই মোট বিনিয়োগ করেছিল মাতশ্রী।

ইডি তদন্তে নেমে জানতে পারে, উন্মেষের কোহিনূর সিটিএনএল মাতশ্রীকে সুদ সমেত ৩৬ কোটি ফেরত দিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ফেরত দিয়ে দেয় চার কোটিও। এছাড়াও উন্মেষের কোহিনূর মাতশ্রীকে দিয়ে দেয় আরও ৮০ কোটি। তাই ইডি এখন উঠে পড়ে লেগেছে কোথায় সেই নথি, যা থেকে প্রমাণিত হবে কোহিনূর মিলসের তিন নম্বর উইংয়র জমিতে কেপিপিএল-এর সঙ্গে কীভাবে ‘কোহিনূর টাওয়ার্স’ বানানোর মাতশ্রীর চুক্তি হয়েছিল। অথবা তেমন কোনও চুক্তির ফাঁক দিয়ে মাতশ্রীকে স্রেফ টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement