সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে মহানাটকের মাঝেই ফের সঞ্জয় রাউতকে সমন পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সূত্রের খবর, আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার আর্থিক দুর্নীতির মামলায় শিব সেনার ‘কৌশলী’ রাউতকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। পালটা রাউতের হুঙ্কার, ‘মাথা কেটে ফেললেও গুয়াহাটি যাব না।’
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, আগামিকাল সকাল ১১টায় ইডির মুম্বই অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে সঞ্জয় রাউতকে। মুম্বইয়ের ‘পাটরা চউল’ জমি কেলেঙ্কারির মামলায় রাজ্যসভার ওই সাংসদকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, সমন পাওয়ার পর ইডির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রাউত। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ষড়যন্ত্র করছে। আজ মহারাষ্ট্রে আমরা বালাসাহেবের সৈনিকরা একটি বড় যুদ্ধ করছি। আমাদের থামাতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে লেলিয়ে দিয়ে আমাদের থামানো যাবে না। কাল আমি ইডির কাছে হাজিরা দেব না। কিছুটা সময় চেয়ে নেব।” শিব সেনার ‘বিদ্রোহী’দের তোপ দেগে রাউত বলেন,”মাথা কেটে ফেললেও আমি গুয়াহাটি যাব না।”
I knew ED is going to summon me, I won’t kneel down. No matter what the rebel MLAs do, I’ll not go to Guwahati. I’m Balasaheb’s Shiv Sainik & I’ll stay with my party. I’ll not appear before ED tomorrow. I will seek time from ED, but will definitely go: Shiv Sena MP Sanjay Raut pic.twitter.com/96YODJsWmy
— ANI (@ANI) June 27, 2022
এর আগে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (Prevention of Money Laundering Act) আওতায় সঞ্জয় রাউতের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের একটি ‘চউল’ (বস্তি) পুনর্নির্মাণে প্রকল্পে ১ হাজার ৩৪ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। এই ঘটনায় তদন্তে নেমেই সঞ্জয় রাউতের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও ইডির পদক্ষেপে তিনি ভীত নন বলে নিজের প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে দিয়েছেন শিব সেনা নেতা। এদিকে, সঞ্জয় রাউতের পাশে দাঁড়িয়ে এদিন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমত বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মহাসংকট কবে মিটবে, কীভাবে মিটবে তা এখনও জানা নেই। নানা সমীকরণ তৈরি হয়েছে বাণিজ্য নগরীর ক্ষমতার অলিন্দে। প্রশ্ন উঠছে, একনাথ শিণ্ডের ‘মহাবিদ্রোহে’ মহারাষ্ট্রের ‘মহা বিকাশ আগাড়ি’ সরকার কি সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে? এদিকে, শিব সেনার বিদ্রোহী নেতারা এখনও গুয়াহাটির বিলাসবহুল হোটেলে রয়েছেন। জানা গিয়েছে, ৩০ জুন অবধি ওই হোটেলে নতুন বুকিং নেওয়া হচ্ছে না। সৌজন্যে হোটেলের বিক্ষুব্ধ সেনা-নিবাস হয়ে ওঠা। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন ‘মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা’র প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray)। এদিন শিণ্ডে -রাজ কথা হয়েছে টেলিফোনে।
এদিকে, সঙ্কট সামাল দিতে দিনরাত বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। রাস্তায় নেমে সমর্থকদের তাতাচ্ছেন আদিত্য ঠাকরে। গতকালই জানা গিয়েছিল, সরকার বাঁচাতে আসরে নেমেছেন উদ্ধব-পত্নী রশ্মি ঠাকরেও। তিনিও নিজের মতো করে কথা বলছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের স্ত্রীদের সঙ্গে। কোথাকার জল কোথায় গড়াবে তা বলবে সময়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.