ফাইল ছবি।
বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: দিল্লি হাই কোর্টে ফের পিছল অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লিযাত্রা। আপাতত আগামী ১০ দিনের জন্য স্বস্তিতে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। আগামী ২৩ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
গত বছরের আগস্ট মাসে বীরভূমের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গরু পাচার মামলায় গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তদন্তে তাঁর নামে ও বেনামে পাহাড় সমান সম্পত্তির খোঁজ মেলে। এরপর ইডি’র নজরে পড়েন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি। অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, অনুব্রতকন্যা সুকন্যাকে দিল্লিতে জেরা করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অনুব্রত ও সুকন্যার হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও। সেই তথ্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে জেরার পর গত ১৭ নভেম্বর গ্রেপ্তার করে ইডি।
তদন্তের স্বার্থে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে দিল্লি (Delhi)নিয়ে গিয়ে জেরা করতে চায় ইডি। সেই মর্মে মামলাও দায়ের হয়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন, তাঁকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করলে অনেক অজানা তথ্যই বেরিয়ে আসবে। এই মুহূর্তে গরু পাচার মামলায় ইডির (ED) হাতে গ্রেপ্তার হয়ে সায়গল হোসেন তিহাড় জেলে বন্দি।
গত সোমবারের পর শুক্রবারও ফের পিছল অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানানো ইডি’র মামলা। দিল্লি হাই কোর্টে বিচারপতি না আসায় মামলার শুনানি পিছল বলেই জানা গিয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন তৃণমূল নেতার ভাগ্য নির্ধারণ হতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.