সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় চার্জশিট ফাইল করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। বিশেষ আদালতে এই চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। চার্জশিটে বলা হয়েছে, আর্থিক তছরূপের জন্য মালিয়া ফোর্স ইন্ডিয়া ফর্মুলা ১ ও আরসিবিকে ব্যবহার করেছে।
[ রাস্তায় নোংরা ফেলা নিয়ে যুবকের সঙ্গে বচসা, বিরুষ্কার পাশেই কিরণ রিজিজু ]
এক বছর আগে ইডি বিজয় মালিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট ফাইল করেছিল। মালিয়া ছাড়া আরও আট জনের বিরুদ্ধে ফাইল করা হয়েছিল চার্জশিট। সেখানে বলা হয়েছিল, আইডিবিআই থেকে ৯০০ কোটি টাকা তছরূপ করেছে বিজয় মালিয়া ও বাকি আট জন। এবারের চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, কিংফিশার এয়ারলাইন্সের জন্য স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া ও অন্য ১৭টি ব্যাংক থেকে ৬ হাজার ২৭ কোটি টাকা লোন স্বরূপ নিয়েছিল মালিয়া। সেটি পরে বেড়ে ৯ হাজার ৯৯০ কোটি টাকা হয়ে যায়। মালিয়া নিজের ব্যক্তিগত জামিনে এই টাকা তোলে। তবে তার সঙ্গে কিংফিশার এয়ারলাইন্সের ব্র্যান্ড গ্যারান্টিও ছিল। এই এয়ারলাইন্সের পরিকাঠামোর জন্য লোন নেওয়া হয়েছিল বলে জানানো হয়। কিন্তু সেই টাকা অন্য কাজে লাগানো হয়েছিল। মালিয়া নিজের ব্যক্তিগত কাজে তা ব্যবহার করেছিল।
[ অবশেষে স্বপ্নপূরণ, ভারতীয় নাগরিকত্বের স্বাদ পেলেন ১১৭ জন পাক হিন্দু ]
মালিয়া এই টাকা তছরূপ শুরু করে ছোট ছোট কোম্পানির নামে। সেই সব কোম্পানিতে সেই সব কোম্পানিতে ডামি ডিরেক্টরস বসায় মালিয়া। তাদের মালিয়াই নিয়ন্ত্রণ করত। ওই কোম্পানিগুলোর নামে সম্পত্তিও কিনেছিল মালিয়া। কিংফিশার এয়ারলাইন্সের মরিশাসের কোম্পানি থেকে যে এয়ারক্র্যাফ্ট বেরত, তা লিজ নেওয়ার নামে বিদেশে টাকা চালান করত মালিয়া। চার্জশিটে বলা হয়েছে, কিংফিশার বিভিন্ন কোম্পানি থেকে লিজে বিমান নিত। সবাইকে ভাড়া দিত সংস্থাটি। কিন্তু মরিশাসের ওই কোম্পানিকে বেশি ভাড়াও দেওয়া হত।
চার্জশিটে এও বলা হয়, কালো টাকার (২৫৫ কোটি) কিছু অংশ ব্রিটেনে সরিয়ে দিয়েছিল মালিয়া। সেখান থেকে সেই টাকা তার ফর্মুলা ১ টিমের বিজ্ঞাপন ও প্রমোশনের পিছনে খরচ হত। ২০০৮ সালে কিংফিশার এয়ারলাইন্সের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা লোন নেওয়া হয়। সেই টাকা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর টিমের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.