সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সকাল থেকে তল্লাশির পর ইডির (ED) হাতে গ্রেপ্তার হলেন আপ (AAP) সাংসদ সঞ্জয় সিং (Sanjay Singh)। বুধবার সকাল থেকেই আবগারি মামলায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অবশেষে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন রাজ্যসভার সাংসদ। কয়েকদিন আগেই একশো দিনের কাজের বকেয়া চেয়ে রাজভবনে অভিযান চালিয়েছিল আপের বঙ্গ শাখা। বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূলের সঙ্গে সুর মেলানোর খেসারত হিসাবেই গ্রেপ্তার হতে হয়েছে আপ সাংসদকে।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে আপকে। এই মামলার অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন খোদ দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। এমনকী জেরার মুখে পড়তে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকেও। এবার ইডির নজরে সঞ্জয়। যদিও তাঁর নাম গত ডিসেম্বরে ইডির চার্জশিটে ছিল। ব্যবসায়ী দীনেশ অরোরা তাঁর নাম করেছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। অরোরার দাবি ছিল, সঞ্জয়ের কথাতেই তিনি ৮২ লক্ষ টাকা ‘অনুদান’ দিয়েছিলেন দিল্লির নির্বাচনের সময়। সেই সময়ই অরোরা বলেছিলেন তিনি সিসোদিয়ার সঙ্গে ৫ থেকে ৬ বার কথা বলেছিলেন। এমনকী, দেখা করেন কেজরিওয়ালের সঙ্গেও। সেই সময় সঞ্জয় সিংও আপ সুপ্রিমোর সঙ্গেই ছিলেন বলে দাবি।
বুধবার সকাল সাতটা থেকে তল্লাশি শুরু হয় সঞ্জয় সিংয়ের বাড়িতে। প্রায় ১০ ঘণ্টা তল্লাশির পর ইডি আধিকারিকদের হাতে গ্রেপ্তার হন আপ সাংসদ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, দিল্লির বেশ কিছু মদ প্রস্তুতকারক সংস্থাকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই বিশেষ নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছিল। সেখানেই আর্থিক তছরুপের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আপ সাংসদ। বাড়ি থেকেই গ্রেপ্তার করে ইডি দপ্তরে আনা হয় তাঁকে।
সঞ্জয় সিং গ্রেপ্তার হতেই সরব হয়েছেন আপের কর্মী সমর্থকরা। তাঁর বাড়ির সামনেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। গ্রেপ্তারির খবর পেয়ে আপ বিধায়ক সোমনাথ ভারতী এই ঘটনাকে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নিজেদের হার বুঝতে পেরে হতাশ হয়ে পড়েছে বিজেপি। সেখান থেকেই এমন আচরণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.