সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (CoronaVirus) মহামারীকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। করোনা পরবর্তীকালে দেশকে আত্মনির্ভর করার অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। যদিও বাস্তবের মাটিতে সেসবের তেমন প্রতিফলন দেখা যায়নি। উলটে তথৈবচ অবস্থা অর্থনীতির। খোদ রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) বলছে চলতি আর্থিক বছরে বৃদ্ধির বদলে অনেকটা সঙ্কুচিত হবে দেশের মোট সার্বিক উৎপাদন অর্থাৎ জিডিপি (GDP)। অনেকে আশঙ্কা করছেন, জিডিপি সঙ্কুচিত হলে দীর্ঘকালীন মন্দা দেখা দিতে পারে ভারতে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এত চিন্তার কোনও কারণ নেই। অর্থনীতি প্রত্যাশার তুলনায় অনেক দ্রুত ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আর দীর্ঘকালীন উন্নয়ন নিয়েও তিনি আশাবাদী।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলছিলেন,”অর্থনীতি প্রত্যাশার তুলনায় অনেক দ্রুত ছন্দে ফিরছে। কৃষি, প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ উৎপাদন ক্ষেত্রে স্থায়ী বৃদ্ধি, গাড়ি-বাইকের বেচাকেনা বৃদ্ধি, ইপিএফও (EPFO) সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির মতো পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।” প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ইপিএফও সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং উৎপাদন বৃদ্ধির মতো বিষয়গুলি স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে চাকরির বাজার ফের প্রসারিত হওয়া শুরু করেছে। মোদির (Narendra Modi) কথায়, ভারত নিজের ক্ষমতাতেই গোটা বিশ্বের উন্নয়নের হাবে পরিণত হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যেমন নতুন একটা পৃথিবীর সৃষ্টি হয়েছিল, করোনা পরবর্তী যুগেও সেটাই হতে চলেছে। আর তাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে ভারত।
ওই সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, অর্থনীতিকে ছন্দে ফেরাতে কেন্দ্র চেষ্টার কোনও কসুর করছে না। অর্থনৈতিক স্থবিরতা ফেরাতে সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। কয়লা, কৃষি, শ্রম, প্রতিরক্ষাক্ষেত্রের বৈপ্লবিক পরিবর্তন অর্থনীতির ভিতকে আরও সুদৃঢ় করবে বলে জানিয়েছেন মোদি। আর্থিক গতি বাড়াতে কেন্দ্র কি ফের কোনও প্যাকেজের কথা ভাবছে? সে প্রশ্নের অবশ্য স্পষ্ট কোনও জবাব দেননি তিনই। বরং প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার প্রশংসা করে তিনি জানিয়েছেন, ভারত সরকার বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে গরিবি রুখতে সক্রিয় পদক্ষেপ করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.