Advertisement
Advertisement

Breaking News

লকডাউন

অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগবে ১ বছরের বেশি! বলছে বণিকসভার সমীক্ষা

করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের সর্বকালের সর্ববৃহৎ লকডাউন চলছে ভারতে।

Economic recovery may take over a year, says CII snap poll
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 4, 2020 12:47 pm
  • Updated:May 4, 2020 1:14 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউন ব‌্যবসায়িক কাজকর্মে যেভাবে প্রভাব ফেলেছে তাতে ভারতীয় অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে একবছরের বেশি সময় লাগতে পারে। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে বণিকসভা কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্টিজ (Confederation of Indian Industry)-এর একটি সমীক্ষায়। এই সমীক্ষায় ৩০০-র বেশি সংস্থার সিইও অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের ৪৫ শতাংশই এমনটা আশঙ্কা করছেন। এই ৩০০ সংস্থার মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থা (এমএসএমই)। এই সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রতি চারটি সংস্থার মধ্যে তিনটিই বলেছে, কাজকর্মের উপর সম্পূর্ণlo‘শাটডাউন’-এর ফলে ব‌্যবসায় ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকের বেশি পণ্যের চাহিদা কমার বিষয়টিকেও ব‌্যবসার ক্ষতির কারণ হিসেবে ইঙ্গিত করেছেন।

সমীক্ষায় অংশ নেওয়া, ৬৫ শতাংশ সংস্থা মনে করছে যে, চলতি ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন ২০২০) আয় ৪০ শতাংশের বেশি কমে যাবে। অন‌্যদিকে, লকডাউনের জেরে ব‌্যাপক হারে কর্মী ছাঁটাইয়ের আশঙ্কা করছেন ৫৪ শতাংশ সিইও। তাদের মতে, অর্ধেকের বেশি সংস্থাই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে পারে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৫ শতাংশ বলছেন, ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই হতে পারে। সিআইআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল চন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ‌্যায় বলছেন, “অর্থনৈতিক কার্যকলাপের উপর ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলেছে। এই সময় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও জীবিকার জন‌্য একটি প‌্যাকেজ আর লকডাউন থেকে বেরনোর অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঈশ্বরের ঘরেও করোনার মার! লকডাউনে কাজ হারালেন তিরুপতি মন্দিরে ১,৩০০ কর্মী]

উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের সর্বকালের সর্ববৃহৎ লকডাউন চলছে ভারতে। ইতিমধ্যেই ৪০ দিন বিধি-নিষেধের উপর কাটিয়ে ফেলেছে দেশ। এর ফলে অর্থনীতি যে ব্যাপক ধাক্কা খাবে সেটা বলা বাহুল্য। কিন্তু এই ধাক্কা কতটা গভীর? সেটা নিয়েই এখন চলছে কাটাছেঁড়া। অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে আগেই একটা বড় আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এখন অপেক্ষা দ্বিতীয় প্যাকেজের।বিশেষ সমস্যায় পড়া ক্ষুদ্র ো মাঝারি শিল্পগুলি চাতক পাখির মতো কেন্দ্রের সাহায্যের অপেক্ষায় বসে আছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement