সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারাল তৃণমূল। তবে বাংলা ছাড়াও আরও দুই রাজ্যে ঘাসফুলের উপস্থিতিকে স্বীকৃতি দিল কমিশন। বাংলা, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ের আঞ্চলিক দল হিসেবে চিহ্নিত করা হল তৃণমূলকে। সোমবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (ECI) তরফে স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তে না খুশ তৃণমূল নেতৃত্ব। এর পালটা তাঁরা আবেদন জমা করার পাশাপাশি আইনি পথেও হাঁটবে বলে জানিয়েছেন সাংসদ সৌগত রায়। নির্বাচনের কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন তিনি।
সাংসদ সৌগত রায়ের কথায়, “নির্বাচন কমিশনের একাধিক ভুল সিদ্ধান্ত রয়েছে। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টও ভর্ৎসনা করেছে কমিশনকে। জানিয়ে দিয়েছে, কমিশনের গঠন কেমন হওয়া উচিত। ওদের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। প্রয়োজনে আইনি লড়াই করব।”
শুধু তৃণমূল নয়, জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারিয়েছে সিপিআই, এনসিপি-ও। অন্যদিকে নতুন করে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমী পার্টি। সিপিআই শুধু জাতীয় দলের তকমা হারিয়েছে তাই নয়, বাংলা ও ওড়িশার আঞ্চলিক দল হিসেবেও আর গণ্য হবে না তারা। একই অবস্থা বামফ্রন্টের আরেক শরিক আরএসপি-রও। তারাও বাংলার আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতি খোয়াল।
Election Commission of India recognises Aam Aadmi Party (AAP) as a national party.
Election Commission of India derecognises CPI and TMC as national parties. pic.twitter.com/9ACJvofqj6
— ANI (@ANI) April 10, 2023
প্রসঙ্গত, প্রতি ১০ বছর অন্তর দলগুলির স্বীকৃতি খতিয়ে দেখে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের (Election Commission) নিয়ম অনুযায়ী, জাতীয় দল হতে গেলে দেশের মোট লোকসভা আসনের ২ শতাংশ পেতে হয় ৩ রাজ্য থেকে। কিন্তু তৃণমূলের বাংলার বাইরে কোনও লোকসভা সাংসদ নেই। জাতীয় দল হতে গেলে অন্তত চারটি আলাদা আলাদা রাজ্য থেকে বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচনে অন্তত ৬ শতাংশ বা তার বেশি ভোট পেতে হয়। যেটা তৃণমূল পায়নি। জাতীয় দল হওয়ার আরেকটা উপায় আছে। সেটা হল চারটি রাজ্যে আঞ্চলিক দলের স্বীকৃতি পাওয়া। সেটার জন্যও অন্তত চার রাজ্যে ন্যূনতম ২ জন করে বিধায়ক বা ৬ শতাংশ ভোট পেতে হয়। সেটাও নেই তৃণমূলের (TMC)। আর তাই জাতীয় দলের তকমা হারাতে হল তাদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.