নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচন যে কড়া হাতে পরিচালনা করা হবে রবিবার ভোট ঘোষণার সময়ই সেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল অরোরা। নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে মঙ্গলবার দৃঢ় প্রত্যয়ের সঙ্গে সেকথা জানালেন সুনীল। কবে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ হবে এবং তারপর তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে, এই ভাবনা নিয়ে নির্বাচন কমিশন যে এবার আর হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না মঙ্গলবার সেই বার্তা দিয়েছে কমিশন। কমিশনের তরফ থেকে এই প্রথমবার ভোটে টাকাপয়সার লেনদেনের উপর নজরদারি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে যাতে কালো টাকার ব্যবহার রোধ করা যায় তার জন্য উদ্যোগী হয়েছে কমিশন।
বিষয়টি তদারকি করতে এদিনই নির্বাচন কমিশন একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে। নির্বাচনের সময়ে টাকাপয়সার লেনদেন নিয়ে প্রায়শই অভিযোগ ওঠে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল কমিশনের কাছে একাধিকবার ভোটারদের টাকার লোভ দেখিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ জানিয়েছে। সেকথা মাথায় রেখেই এবারের নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার ও অবৈধ লেনদেনের উপর কমিশন নজরদারি রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, দক্ষিণের রাজ্যগুলি থেকেই এ ধরনের অভিযোগ বেশি ওঠে। তাই কমিটি দক্ষিণের চার রাজ্য তামিলনাডু, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা এবং কর্ণাটকের উপর বিশেষ নজরদারি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই কাজের জন্য ব্যাংকগুলির সহায়তা নেওয়া হবে।
বিগত কয়েক মাসে কার অ্যাকাউন্টে কত টাকা লেনদেন হয়েছে সেই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখবে কমিশন। ‘মাল্টি ডিপার্টমেন্ট কমিটি অন ইলেকশন ইন্টেলিজেন্স’ নামে এই কমিটিতে দেশের প্রথম সারির আর্থিক ও দুর্নীতি দমন শাখার প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে। সিবিআই, ইডি, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস, ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, সেন্ট্রাল ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো, ফিনান্সিয়াল ইন্টালিজেন্স ইউনিটের মতো সংস্থার প্রধান থেকে শুরু করে প্রথম সারির কর্তাদের এই কমিটিতে রাখা হয়েছে। কমিশনের তরফ থেকে কমিটিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা-সহ একাধিক প্রথম সারির আধিকারিক থাকছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.