সুব্রত বিশ্বাস: যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থে রেলের বেশ কিছু টেন্ডারে ছাড়পত্র দিল নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট চালু হয়ে যাওয়ায় নতুন টেন্ডার ডাকা সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে থমকে গিয়েছিল রেলের সুরক্ষার কাজ। তাই এদিন ওই টেন্ডারগুলির ছাড়পত্র দিল কমিশন৷
[ আরও পড়ুন: ‘কোনও দ্বন্দ্ব নেই’, দাদা তেজপ্রতাপের রাগ ভাঙিয়ে স্পষ্ট বার্তা তেজস্বীর ]
জানা গিয়েছে, রেলের এমন বহু কাজ বাকি রয়েছে, যা না করলে দুর্ঘটনা অবশ্যম্ভাবী। সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ছাড়পত্রের দরকার। তাই ওই টেন্ডারগুলির ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা হয় কমিশনের কাছে৷ সেই আবেদনে সাড়া দিল নির্বাচন কমিশন। এবং বিধিনিষেধের গেরোয় আটকে থাকা অথচ অত্যাবশ্যকীয় চেন্ডারগুলিকে ছাড়ের নির্দেশ দিল কমিশন। কমিশনের তরফে জানান হয়েছে, যাত্রী নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই অতি প্রয়োজনীয় টেন্ডারগুলিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে, ট্রেন অপারেশন, লাইন রক্ষণাবেক্ষণ, সিগন্যালের সঙ্গে জড়িত বিষয়, লাইনের পাথর আমদানি থেকে শুরু করে নিত্যদিনের সুরক্ষার ক্ষেত্রে অতিপ্রয়োজনীয় বিষয়সমূহ রয়েছে।
[ আরও পড়ুন: মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞাকে প্রার্থী করল বিজেপি ]
তবে এই ক্ষেত্রে টেন্ডার ডাকতে পারলেও পাবলিসিটি করতে পারবে না রেল কর্তৃপক্ষ। এমনকী টেন্ডারের ফলাফল, অর্থাৎ কে টেন্ডারটি পেল, কেন পেল তা জানাতে পারবে না রেল। তথ্য গোপনের মূল কারণ হিসাবে জানানো হয়েছে, যাতে কোনও রাজনৈতিক প্রভাব না পড়ে। সুরক্ষার ক্ষেত্রে টেন্ডারে ছাড় মিললেও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর জন্য টেন্ডারে ছাড় দেয়নি নির্বাচন কমিশন। কমিশন স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, স্বাচ্ছন্দ্যের সামগ্রী নির্মাণে বা রক্ষণাবেক্ষণে দু’একমাসের বিলম্বে বিশেষ কোনও ক্ষতি হবে না, যতটা ক্ষতি হবে সুরক্ষার ক্ষেত্রে৷ তাই এই ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে রয়েছে, শৌচালয়, পানীয়জল, বসবার সিট-সহ স্টেশনগুলির একাধিক পরিকাঠামোগত বিষয়সমূহ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.