ফাইল ফোটো
শুভঙ্কর বসু: গোটা দেশে ভোট দানের গড় হার ৬৬.৩৮। কিন্তু এতে সন্তুষ্ট হতে পারছে না নির্বাচন কমিশন। কমিশন চাইছে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ বুথমুখী হোন। বাড়ুক ভোটদানের হার। গণতন্ত্র হোক আরও মজবুত।
এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে একরকম উঠে পড়ে লেগেছে কমিশন। অফিস, ক্লাব, কলেজ, শপিং মল, পাড়ার মোড়, সর্বত্রই চলেছে ভোটের পাঠ। সেই কাজকে এবার আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে রেলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেধেছে কমিশন। লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি এবার দূরপাল্লার ট্রেনেও ভোটের পাঠ দেবে কমিশন। শেখানো হবে ইভিএম-ভিভিপ্যাটের যাবতীয় খুঁটিনাটি। প্রাথমিকভাবে চারটি দূরপাল্লার ট্রেন বেছে নেওয়া হয়েছে প্রচারের জন্য। কেরল এক্সপ্রেস, হিমসাগর এক্সপ্রেস, হাওড়া এক্সপ্রেস ও গুয়াহাটি এক্সপ্রেসে চালানো হবে প্রচার।
মোট ১৯টি রাজ্যের মধ্যে দিয়ে চলাচল করে এই চারটি এক্সপ্রেস ট্রেন। প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার পথে নিত্যদিন এই প্রচার চালানো হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন। ট্রেনগুলিতে দেওয়া থাকবে ভোটার্স হেল্পলাইন নম্বর (১৯৫০)। ভোটদানে আগ্রহ বাড়াতে থাকবে বিভিন্ন ধরনের অভিনব পোস্টার। মূলত ভোট নিয়ে ট্রেন যাত্রীদের আরও সচেতন করাটাই কমিশনের মূল লক্ষ্য। ভারতীয় রেলের সঙ্গে যৌথভাবে এ কাজ করছে তারা। ইতিমধ্যেই ট্রেন ও প্ল্যাটফর্মগুলিতে প্রচার শুরু হয়েছে। রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে নির্বাচন কমিশনের ‘সিস্টেমেটিক ভোটার এডুকেশন প্রোগ্রাম’ হিসাবে ভোট-বার্তা দেওয়া হচ্ছে। প্ল্যাটফর্মের মাইকে জনতাকে ভিভিপ্যাট-ইভিএম ব্যবহারের টিপস দিচ্ছে কমিশন।
শুধু রেল স্টেশন বা ট্রেনই নয়, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের উদ্যোগে এবার মেট্রোর যাত্রীদের মাঝেও ভোট প্রচার চালানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে পোস্টার-ছবি দিয়ে ভোট সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করা হচ্ছে। এবিষয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তরের এক কর্তা বলেন, “আমাদের টার্গেট মূলত জনবহুল জায়গা। যাতে একসঙ্গে অনেক মানুষের মধ্যে প্রচার চালানো যায়। সেকারণেই একাজে এবার রেলেকেও সংযুক্ত করা হয়েছে। কমিশনের সঙ্গে যৌথভাবে এই কাজ শুরু করছে রেল। ইতিমধ্যে মেট্রো রেলেও প্রচারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।” জানা গিয়েছে, শহরতলির ভোট যত এগিয়ে আসবে মেট্রোয় প্রচার ততই বাড়বে। ভোট নিয়ে তৈরি হওয়া বিভিন্ন আকর্ষণীয় তথ্যচিত্র, ভিডিও মেট্রো স্টেশনগুলিতে সম্প্রচার করা হবে। শুধু রেল বা মেট্রোই নয়। শহরের ট্রাফিক সিগন্যালে যে মাইক রয়েছে তাতেও চলছে কমিশনের ভোট বার্তা।
এবারের ভোটে কমিশনের স্লোগান- “এক জন ভোটারও যাতে বাদ না যায়।” আর এই স্লোগানকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে এবার একাধিক সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে কমিশন। তরুণ ভোটারদের মন পেতে প্রথমবারের জন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়া ‘মাইক্রো ব্লগিং’ সাইট টুইটারে @ECISVEEP নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছে নির্বাচন কমিশন। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি অফিসে তৈরি হয়েছে ইলেকটোরাল লিটারেসি ক্লাব। সচেতনতার প্রচার চলছে বিভিন্ন মাধ্যমকে ব্যবহার করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.