Advertisement
Advertisement

ভোটের খরচে নগদ অনুদানের অঙ্ক কমাল কমিশন

‘বেআইনি’ আর্থিক লেনদেন রুখতে সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে কমিশন৷

EC caps election expenditure
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:November 17, 2018 4:52 pm
  • Updated:November 17, 2018 4:52 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের খরচে লাগাম টানল নির্বাচন কমিশন৷ ভোটের খরচে অনুদান বাবদ সর্ব্বোচ্চ সীমা ২০ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১০ হাজার টাকা করার বিজ্ঞপ্তি জারি করল কমিশন৷ নয়া বিজ্ঞপ্তির জেরে এখন থেকে ভোটপ্রার্থীরা যে কোনও ব্যক্তির থেকে সর্ব্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা অনুদান নিতে পারবেন৷

[ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’-য় বিধ্বস্ত তামিলনাড়ু, উদ্ধারকাজে নামল নৌসেনা]

কমিশনের নিয়মানুযায়ী, একটি বিধানসভা কেন্দ্রপিছু সর্ব্বোচ্চ ১৪ লক্ষ টাকা খরচ করতে পারেন এক জন প্রার্থী৷ কিন্তু, ভোট প্রচারের খরচ দিনে দিনে বাড়তে থাকায় রাজনৈতিক দলগুলির তরফে অনুদান দেওয়ার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানানো হয়৷ কিন্তু, রাজনৈতিক দলগুলির দাবি উড়িয়ে অনুদান নেওয়ার পরিমাণ কমানোর পথে হাঁটল কমিশন৷ শনিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে কমিশনের তরফে জানানো হয়, এখন থেকে অনুদান বাবদ কোনও প্রার্থী সর্ব্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নগদ নিতে পারবেন৷ তবে, ২০ হাজার টাকার পরিবর্তে নগদ নেওয়ার ঊর্ধ্বসীমা ১০ হাজার টাকা করা হলেও বিধানসভা কেন্দ্রপিছু মোট খরচের পরিমাণে লাগাম টানার ঝুঁকি এখনও নিতে পারেননি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কর্তারা৷

Advertisement

[লখনউতে হেনস্তার শিকার পীযূষ গোয়েল, মাঝপথে ছাড়লেন সভাস্থল]

কিন্তু, পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার দু’সপ্তাহ পর কেন এই সিদ্ধান্ত? কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচনের প্রচারের নামে যাতে কোনও বেআইনি কার্যকলাপ না হয়, সেদিকে গুরুত্ব বাড়িয়ে এই সিদ্ধান্ত৷ এমনিতেই নির্বাচনে দেদার খরচ নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে৷ রাজনৈতিক দলগুলিকে কোটি কোটি টাকা অনুদানের মধ্যে কর ছাড় ও কালোবাজারির পথ অবলম্বন করে থাকেন দেশের একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা৷ নির্বাচনে অনুদান সংক্রান্ত কালোবাজারি রুখতে কড়া ব্যবস্থাও নিয়েছে কমিশন৷ ভোটের প্রচারে ভিডিও থেকে শুরু করে কোন খাতে কী কী খরচ করা হয়েছে, তার উপরও নজরদারি বাড়িয়েছে কমিশন৷

[এবার ‘রামরাজ্য’-এর দাবিতে সরব আরএসএস প্রধান]

কিন্তু, কমিশনের তরফে একাধিক বিধিনিষেধ চাপানো হলেও কিছুতেই থামানো যায়নি ‘বেআইনি’ আর্থিক লেনদেনের কারবার৷ গত লোকসভা নির্বাচনে কমিশনের দেওয়া দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪-র নির্বাচনে বিজেপি প্রচারের কাজে খরচ করেছিল ৭১৪ কোটি টাকা, কংগ্রেস খরচ করে ৫১৬ কোটি টাকা৷ শরদ পাওয়ারের এনসিপি খরচ করে ৫১ কোটি টাকা৷ মনে করা হচ্ছে, ২০১৯ সালে এই খরচ দ্বিগুণ বা তিনগুণ হতে পারে৷ ফলে, গত লোকসভার মতো এবার যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেদিকে নজর বাড়াতে এখন থেকেই তৎপর কমিশন৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement