সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম জন্মভূমি নিয়ে বিতর্ক মামলার শুনানি চলাকালীন ঈশ্বরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন খোদ প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। অত্যন্ত জটিল ও বিতর্কিত সেই মামলার রায়দান একেবারেই সহজ ছিল না। সেই মামলার শুনানি ও রায়দানের সময় নিজের অন্তরে কী লড়াই চলছিল সে কথাই এবার দেশবাসীর সঙ্গে ভাগ করে নিলেন প্রধান বিচারপতি। জানালেন, সেই সময় ঈশ্বরের কাছে কী প্রার্থনা করেছিলেন তিনি।
দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়(DY Chandrachud) যে ঈশ্বর বিশ্বাসী তা নিয়ে দ্বিমত নেই। গত রবিবার এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি সেখানেই রাম মন্দির ও বাবরি মসজিদ জমি বিতর্কের মামলার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ”সেই সময় আমি প্রতিদিন ঈশ্বরের সামনে বসে প্রার্থনা করতাম। এবং আমি বিশ্বাস করি কেউ যদি ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রাখেন, তবে ঈশ্বর অবশ্যই তাঁকে সঠিক পথ দেখাবেন।” একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, “কখনও কখনও এমন কিছু মামলা আসে সেখানে আমরা কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছতে পারি না। অযোধ্যা মামলার ক্ষেত্রেও তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তিন মাস ধরে অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল আমাদের। তখন প্রতিদিন ঈশ্বরের সামনে বসে প্রার্থনা করতাম এই জটিল সমস্যার সমাধান তিনি যেন বের করে দেন।” প্রধান বিচারপতির এহেন মন্তব্যের পর তাঁকে কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতা উদিত রাজ। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে গরিব মানুষ যাতে বিনামূল্যে বিচার পান তেমন কোনও প্রার্থনা যদি উনি করতেন ঈশ্বরের কাছে তাহলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হতেন।’
মুঘল আমলে অযোধ্যায় তৈরি হয়েছিল বাবরি মসজিদ। হিন্দুদের দাবি ছিল রাম মন্দির ভেঙে তৈরি করা হয় এই মসজিদ। ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আদালতে চলছিল এই মামলা। শেষ পর্যন্ত ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের তরফে রাম জন্মভূমিকেই মান্যতা দেওয়া হয়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-সহ ৫ বিচারপতির বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের। পাশাপাশি বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি বরাদ্দ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের ওই বিচারপতির বেঞ্চের সদস্য ছিলেন ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ও।
দীর্ঘ বছর ধরে চলতে থাকা জটিল সেই মামলা চলাকালীন বর্তমান প্রধান বিচারপতির হৃদয়ে কি টানাপোড়েন চলছিল, সেটাই এবার জনসমক্ষে আনলেন চন্দ্রচূড়। একইসঙ্গে প্রকাশ করলেন ঈশ্বরের প্রতি তাঁর অগাধ আস্থা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.