দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: নাগরিক না হলে ভারত ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। রবিবার কোন্নগরের রাজ রাজেশ্বরী মন্দিরে এসে এনআরসি প্রসঙ্গে এই মন্তব্যই করলেন দ্বারকা মঠের প্রধান শংকরাচার্য স্বরুপানন্দ সরস্বতী মহারাজ।
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যাঁরা ভারতবর্ষের নাগরিক নন তাঁদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। কারণ, ভারতের জনসংখ্যা এমনিতেই অনেক বেশি। তাই অবিলম্বে যাঁরা নাগরিক নন তাঁদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়াই ভাল।’ মোদি সরকার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার পরেই ভাষা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে। নতুন শিক্ষানীতির খসড়া প্রকাশ হতেই হিন্দিকে জোর করে অন্য ভাষাভাষীর মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। তারপর অবশ্য বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। দু’দিন আগে ফের হিন্দি ভাষা নিয়ে সওয়াল করেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও।
রবিবার প্রায় একই সুরে, এক দেশ ও এক ভাষার পক্ষে সওয়াল করেন দ্বারকা মঠের শংকরাচার্য। বলেন, ‘কমন ভাষা হিসেবে সারা দেশে হিন্দি থাকুক। কিন্তু, তার মানে এই নয় যে কেউ নিজের ভাষা ত্যাগ করে হিন্দিকে আপন করে নিক। বিভিন্ন রাজ্যে সরকারি কাজ ইংরাজি ভাষায় হয়। আমার মনে হয়, সেখানে দেশের ভাষা হিন্দিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।।’ এ বিষয়ে মহাত্মা গান্ধী ও সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল যে একমত পোষণ করেছিলেন সে কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
দেশের অর্থনৈতিক মন্দা পিছনে নোটবন্দি ও জিএসটির প্রভাব আছে বলেও গতকাল দাবি করেন ওই ধর্মগুরু। জানান, নোটবন্দি ও জিএসটির সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। এর ফলে এটা প্রথম থেকেই মানুষের মনে ভয়ের উদ্রেক করেছিল। তারপর যখন ৫০০ ও দু’হাজারের নোটকে কাগজের টুকরো বলা হল তখন থেকে মানুষের নোটের প্রতি বিশ্বাসটাই হারিয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয়ত, ব্যাংকে গোলমাল হওয়ার কারণে মানুষের মনে একটা ধারণা তৈরি হয়েছিল যে ওখানে টাকা রাখলে পরে তা নাও পেতে পারি।
মোটর গাড়ি শিল্পে মন্দার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শংকরাচার্য বলেন, ‘গাড়ির যেখানে গ্রাহক নেই সেখানে উৎপাদন করে কী হবে। আপনি যেখানে গাড়ি কিনতে যাবেন সেখানে আয়কর দপ্তর বসে আছে। প্রশ্ন করবে টাকা কোথা থেকে এল। তাই যার কাছে টাকা আছে তার ভয়ও আছে। তাই গ্রাহকও গাড়ি কিনতে এগিয়ে আসছে না, ব্যবসাও চলছে না।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.