সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের প্রভাব পড়ল গঙ্গাতেও। দূষণ কমল গঙ্গার জলে। লকডাউনের জেরে দেশবাসী ঘরবন্দি থাকায় ও কল-কারখানা বন্ধ থাকায় ক্রমেই কমছে গঙ্গায় দূষণের প্রভাব।
২১ দিনের লকডাউনে ঘরবন্দি থেকে মানুষ যে প্রকৃতিকে নিজের সহাবস্থানে ফিরিয়ে দিতে পেরেছে সেটাই এখন নজির। কলকারখানা বন্ধ থাকায় গঙ্গায় কমছে দূষণের পরিমাণ। চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ শতাংশ উন্নতির খোঁজ মিলেছে। আইআইটি বিএইচইউ-এর কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-র অধ্যাপক ড. পিকে মিশ্র জানান,”গঙ্গার দূষণের এক দশমাংশ আসে শিল্প থেকে। যেহেতু শিল্পোৎপাদন এখন বন্ধ লকডাউনে, তাই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আমরা গঙ্গায় ৪০-৫০ শতাংশ উন্নতি লক্ষ করেছি। এটা তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি।” তিনি আরও বলেন,”১৫-১৬ মার্চ বৃষ্টি হওয়ায় এখানে গঙ্গার জলস্তর বেড়েছে। এর ফলে পরিষ্কার করার ক্ষমতা বেড়ে গিয়েছে। যদি ২৪ মার্চ থেকে লকডাউন শুরু হওয়ার আগের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা যায়, তাহলে অভাবনীয় উন্নতি ধরা পড়বে।” গঙ্গার দূষণ কমে যাওয়ায় কার্যত খুশি গঙ্গার তীরবর্তী শহরের মানুষেরা। এক স্থানীয়ের কথায়,”ক’দিনে আগে আমরা গঙ্গার যে জল ব্যবহার করেছি আর এখন যে পরিস্থিতি, তা দেখলে পার্থক্যটা বোঝা যায়। আজ জল কত পরিষ্কার। এর অন্যতম কারণ, এখন কারখানা বন্ধ। মানুষজনও ঘাটে স্নান করতে আসছেন না। যদি ১০ দিনেই এমন হয়ে থাকে, তাহলে আমার বিশ্বাস অচিরেই গঙ্গা একেবারে আগে যেমন ছিল তেমন হয়ে উঠবে।”আর একজন স্থানীয় জানান,”লকডাউনের সময় গঙ্গার জল পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। কেউই নিশ্চয়ই ভাবতে পারেননি লকডাউনে পরিবেশের উপরে এমন প্রভাব পড়বে। গঙ্গার পরিষ্কার জলের দিকে তাকালে আমাদের খুব আনন্দ হচ্ছে।”
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৪ মার্চ দেশব্যাপী ২১ দিনের সম্পূর্ণ লকডাউনের কথা ঘোষণা করেন। গঙ্গার জলের এমন অভাবনীয় পরিবর্তনে বারাণসী, কানপুর, কলকাতাবাসীদের মধ্যে খুশি লক্ষ করা গিয়েছে। স্বচ্ছতাই যে সুন্দর সেটাই তো প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করতে চেয়েছেন বারে বারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.