প্রণব সরকার, আগরতলা: করোনা আবহে দুর্গাপুজো করার ছাড়পত্র দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। সরকারি নির্দেশে বলা হয়েছে, এ বছরের পুজো করতে হবে করোনা স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
ইতিমধ্যেই বাংলা-সহ বিভিন্ন রাজ্যের সরকার দুর্গাপুজো (Durga Puja) ও নবরাত্রি নিয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন জানিয়ে দেন, কোভিডবিধি (COVID-19) মেনেই হবে এবারের পুজো। আবার অসমে প্রতিমা পুজো না করে ঘটপুজো করার পরামর্শ দিয়েছেন সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। গুজরাট প্রশাসন আবার জানিয়েছে, এবার সরকারের তরফে নবরাত্রির অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে না। উত্তরপ্রদেশে যোগী সরকার আবার প্যান্ডেল করে দুর্গাপুজোর উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। যদিও পরে নিজেদের সিদ্ধান্ত বদল করে পুজোর অনুমতি দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর এদিন বিপ্লব দেব (Biplab Deb) জানালেন, সরকারি নির্দেশিকা মেনেই পুজোর আয়োজন করতে হবে।
ত্রিপুরায় দুর্গাপুজোর জন্য কী কী বিধিনিষেধ?
পুজো প্যান্ডেল করতে হবে উচ্চতা রেখে। অঞ্জলি থেকে শুরু করে সিঁদুর খেলা- সব কিছুতেই মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব। পুজো মণ্ডপকে বারবার স্যানিটাইজ করতে হবে। কোনওভাবেই পুজো প্যান্ডেলে ভিড় জমানো যাবে না। পুজো দেখার ক্ষেত্রেও দর্শকদের মানতে হবে সামাজিক দূরত্ব। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব রাজধানী আগরতলার পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে এ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন। তাঁদের মতামত জানতে চান। প্রায় সব ক্লাবই বাঙালির শ্রেষ্ঠ দুর্গা উৎসব করোনা পরিস্থিতিতেও করার পক্ষে অভিমত প্রকাশ করেন। যদিও ক্লাবগুলো এবার বাজেট অনেকটাই কমিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের পর বাঙালি প্রধান রাজ্য হিসেবে ত্রিপুরাতেই সবচেয়ে বেশি ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হয়। বড় বাজেটের ক্লাবগুলো এবার স্বেচ্ছায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা পুজোর চাঁদা নেবে না। ক্লাব সদস্যরাই নিজেরা টাকা খরচ করে পুজোর ব্যবস্থা করবেন। ইতিমধ্যে শহরের ক্লাবগুলোর প্যান্ডেল তৈরির কাজও শুরু হয়েছে। প্যান্ডেল হচ্ছে ১০ ফুট উচ্চতার। খোলামেলা মণ্ডপই করা হচ্ছে। পুজোর পরে যাতে কোনওভাবেই করোনা সংক্রমণের ঘটনা বাড়তে না পারে, তার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.