সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’ গানের গীতিকার পাকিস্তানের ‘জাতীয় কবি’ মহম্মদ ইকবালকে (Muhammad Iqbal) বাদ দেওয়ার প্রস্তাব ঘিরে বিতর্ক ঘনিয়েছে। বাকি কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের চূড়ান্ত সম্মতি। তাহলেই পাঠ্যসূচি থেকে বাদ চলে যাবেন ইকবাল। এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যোগেশ সিং মুখ খুললেন। ইকবালকে ‘ভারত ভাঙার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারীদের অন্যতম’ বলে বর্ণনা করতে দেখা গেল তাঁকে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে তিনিই ইকবালকে সরানোর প্রস্তাব পেশ করেন।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, যাঁরা ভারতকে ভাঙার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন, তাঁদের সিলেবাসে রাখা উচিত নয়। তাঁর কথায়, ”ইকবালই প্রথম ভারতভঙ্গ ও পাকিস্তান গঠনের আইডিয়া দিয়েছিলেন। এই সব মানুষদের কথা শেখানোর থেকে আমাদের উচিত জাতীয় নায়কদের কথা পড়া। ভারত ভাঙার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারীদের সিলেবাসে থাকা উচিত নয়।” তাঁর দাবি, মুসলিম লিগ ও পাকিস্তানের সমর্থনে গান বেঁধেছিলেন ‘পাকিস্তানের জাতীয় কবি’।
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের স্নাতক স্তরের ষষ্ঠ সেমিস্টারে ‘আধুনিক ভারতীয় রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা’ শীর্ষক অধ্যায়ে রয়েছে ইকবালের কথা। ইকবালকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব এবার চূড়ান্ত সিলমোহরের অপেক্ষায়। শুক্রবারই দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল এই সংক্রান্ত প্রস্তাব পাস করেছে। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ‘সারে জাঁহা সে আচ্ছা’র গীতিকারকে সিলেবাস থেকে ছেঁটে ফেলার প্রস্তাবের পাশাপাশি আম্বেদকর, মহাত্মা গান্ধী, স্বামী বিবেকানন্দের দর্শন পড়ানোর প্রস্তাবও রাখা হয়েছে শুক্রবাসরীয় বৈঠকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.