সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝুলিতে রয়েছে ৫০টির বেশি শংসাপত্র, ১০টিরও বেশি মেডেল, সঙ্গে প্রচুর ট্রফি। কলেজের ‘টপার’ হিসাবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও চাকরি তো দূরের কথা, এখনও পর্যন্ত কোনও ইন্টার্নশিপের সুযোগটুকুও পাননি দিল্লির ওই ‘মেধাবী’ ছাত্রী। সম্প্রতি সেই হতাশার কথাই তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন। মুহূর্তেই ভাইরাল হয়েছে তার এই পোস্ট।
তরুণীর নাম বিষমা। তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। ইংরাজিতে স্নাতক। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি কলেজের টপার ছিলাম। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমি কোনও সংস্থায় ইন্টার্নশিপেরও সুযোগ পাইনি। এখন আমি বুঝতে পারি – নম্বরের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল দক্ষতা।’ পোস্টে বিষমা আরও লিখেছেন, ‘আমার শিক্ষক এবং পরিবারের লোকজনেরা সব সময়ে বলতেন পড়াশোনায় মনযোগ দাও। কিন্তু আসলে কোম্পানিগুলি মেধাবী ছাত্র বা ছাত্রী চায় না। তারা এমন কাউকে চায়, যারা তাদের কাজ করতে পারদর্শী।’ তাঁর সংযোজন, ‘তবে আমি বই-খাতা পুড়িয়ে দিতে বলছিনা। আমি শুধু বলতে চাই, একটা স্কিল বেছে নাও এবং সেটিতে দক্ষতা অর্জন করো।’ এরপরই বিষমা আক্ষেপের সুরে লিখেছেন, ‘এতো শংসাপত্র, মেডেল এবং ট্রফি আমাকে একটা ইন্টার্নশিপেরও সুযোগ করে দিল না।’
বিষমার এই পোস্টটি সমাজমাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়। অনেক মানুষই তাঁর সঙ্গে সহমত হয়েছেন। পোস্টের নীচে একজন লিখেছেন, ‘একদম সত্যি কথা। সমাজের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। পোস্টটি আমার বাবা-মাকে দেখিয়েছি।’ আবার অন্য একজন লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, ডিগ্রি এবং শংসাপাত্র ইন্টারভিউ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে, আপনার দক্ষতাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্যবশত, স্কুল এবং কলেজগুলিতে এখনও এই বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলা হয় না।’
বিষমার এই পোস্টটি আসলে সমাজের কঠিন বাস্তব রূপকেই নির্দেশ করছে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। তাদের মতে, সমাজ বরাবারই ব্যবহারিক জ্ঞানের থেকে পাঠ্যপুস্তককেই অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। কিন্তু সেটি যে একেবারেই ভুল, তার উদাহরণই হল এই পোস্টটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.