সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গিয়েছিলেন কলেজের অনুষ্ঠানে গান শুনতে। ফিরলেন এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা নিয়ে। দেখলেন, ভিড়ের মধ্যে তাঁর জিনসেই বীর্যপাত করেছে কোনও এক যুবক। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মেঘনা সিংয়ের। আর তা নিয়েই শোরগোল নেটদুনিয়ায়।
আন্তর্জাতিক নারীদিবসের প্রেক্ষিতে উঠে আসছিল মহিলাদের নানা কীর্তির কথা। সেইসঙ্গে প্রতিনিয়ত কী হেনস্তার শিকার হতে হয় নারীদের, সে ইস্যুতেও সরব হচ্ছিলেন অনেকে। নারীদিবসের পরেই সে প্রসঙ্গে মুখ খোলেন মেঘনা। জানান, তাঁর অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা। ইতিহাসে স্নাতক স্তরের ছাত্রী মেঘনা। গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে গানের অনুষ্ঠান শুনতে। শো যখন একটু গড়িয়েছে তখনই ভিড়ের মধ্যে অস্বস্তি অনুভব করেন তিনি। পিছু ফিরে এক যুবককে দেখতে পান। তাঁর কারণেই কিছু অসুবিধা হচ্ছিল মেঘনার। সবিনয়ে তিনি তাঁকে সরে যেতে বলেন। যুবকটি সরেও যায়। পুরো ঘটনাকে আর পাত্তা দেননি মেঘনা। কিন্তু বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁর জিনসের উপরেই বীর্যপাত করে গিয়েছে ওই যুবক। জিনসের সেই ছবি তিনি তুলে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ব্যঙ্গ করে লেখেন মহিলাদের কী ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, এটা তার নমুনা।
কিন্তু এখানেই ঘটনার শেষ নয়। মেঘনার পাশে দাঁড়ানো তো দূর অস্ত, নেটদুনিয়ায় তাঁকে নিয়ে বিস্তর ঠাট্টা-তামাশা-মশকরা শুরু হয়। ওটা যে বীর্যেরই দাগ, তা তিনি কীভাবে নিশ্চিত হলেন, সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। শেষমেশ আরও একটি পোস্ট করে ব্যাখ্যা দিতে হয় মেঘনাকে। জানান, কিছু একটা যে হচ্ছে তা তিনি আঁচ করতে পেরেছিলেন। এমনকী বীর্যের গন্ধও পেয়েছিলেন। কিন্তু ভিড়ের মধ্যে কেউ যে এমন কাজ করতে পারেন, তা কল্পনা করেননি। তাই দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এমনভাবে দাঁড়িয়েছিলেন যাতে আর কেউ বিরক্ত করতে না পারে। পরে বাড়ি এসে যা আবিষ্কার করেন, তাতে ওই যুবকের কাজ নিয়ে তাঁর কোনও সংশয় নেই। কিন্তু তিনি যুবকটিকে ভাল করে খেয়াল করেননি সে কথাও জানিয়ে দেন। তবে প্রচারের আলোয় আসতে বা সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োতে যে তিনি এমন করেননি তা সাফ জানিয়ে দেন। মেয়েদের প্রতিনিয়ত কোন ধরনের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তা জানাতেই ছিল তাঁর এই পোস্ট। যদিও তাঁর এই পোস্ট নিয়ে এখনও বিতর্কের শেষ নেই। এমনকী হোলির দিনেও মেঘনার পোস্টেই দিনভর মেতে থাকলেন নেটিজেনরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.