সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা রুখতে নয়া ইলেক্ট্রনিক মাস্ক বানালেন বেঙ্গালুরুর কয়েকজন বিজ্ঞানী। তাঁরা এই মাস্কটির নাম দিয়েছেন ট্রিবই (TriboE) মাস্ক। শুধুমাত্র একবার চার্জ দিয়ে এই মাস্ক পরে নিলেই কেল্লাফতে। তারপর করোনার প্রবেশের পথ একেবারে বন্ধ।
বেঙ্গালুরুর সিইএএনএস (CeNS) রিসার্চ সেন্টারের ডিএসটি-র (DST) বিজ্ঞানীরা করোনা রুখতে একটি নয়া মাস্কের উদ্ভাবন ঘটিয়েছেন। তবে এই মাস্ক তৈরির ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে বঙ্গসন্তান ডঃ প্রলয় সাঁতরার। এছাড়াও তাঁর সঙ্গে এই কর্মযজ্ঞে রয়েছেন ডঃ আশুতোষ সিং, অধ্যক্ষ গিরিধর ইউ কুলকারনি। বিজ্ঞানীরা জানান, “দুটি অপরিচালকারী স্তর ঘর্ষণের ফলে যে পজিটিভ ও নেগেটিভ শক্তি উৎপন্ন হয় তা মাস্কে বেশ কিছুক্ষণ থেকে যায়। সেই শক্তি তখন মাস্কের সর্বত্র ছড়িয়ে মাস্কটিকে সংক্রমণ রোধে সাহায্য করে।” জানা যায়, এই মাস্কে তিনটি স্তর থাকছে। একটি নাইলনের কাপড়কে পাতলা করে ভাঁজ করে রাখা থাকবে পলিপ্রোপাইলিনের দুটি স্তরের মাঝে। নাইলনের স্তর হিসেবে বাজারের ব্যাগ বা সিল্কের শাড়ি ব্যবহার করা যেতে পারে। এই মাস্ক ব্যবহারের আগে এই ত্রিস্তরীর মাস্কটিকে ঘর্ষণের ফলে নাইলনের বাইরের অংশে নেগেটিভ ও ভিতরের দিকে থাকা স্তরে পজিটিভ চার্জ তৈরি হবে। ফলে যে ব্যক্তি এই মাস্ক ব্যবহার করবেন তাঁর মাস্কে তখন দ্বিগুন প্রতিরোধ শক্তি তৈরি হবে। ফলে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যাবে। তবে মাস্কের আবরণ হিসেবে সাধারণ কাপড় ব্যবহার করলে তা ধুয়ে দেওয়া যাবে ও বারবার ব্যবহার করতে ও কোনও সমস্যা হবে না। তবে এই মাস্ক স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য নয় বলেই জানান বিজ্ঞানীরা।
অধ্যক্ষ কুলকারনির কথায়, “স্কুল পড়ুয়াদের পদার্থবিদ্যার পাঠ্যবই থেকেই ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক এই মাস্ক তৈরির ধারণা আমাদের মাথায় আসে। এই মাস্ক তৈরিতে ট্রাইবায়োইলেক্ট্রিসিটির পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়েছে।” ডিএসটি-র উচ্চপদস্থ সচিব আশুতোষ শর্মা জানান, ” এটা খুবই আকর্ষণীয় যে রয়ায়ন, পদার্থবিদ্যার পাঠ্যবইয়ের বিভিন্ন বিষয়কে হাতেকলমে কাজে লাগানো হচ্ছে। যা বাস্তবে ব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণে মানুষ উপকৃত হবেন ও তা বাজারে সহজেই নিয়ে আসা যাবে। খুব সাধারণ ডিজাইনের মাধ্যমেই এই মাস্কটি তৈরি করা হয়েছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.