সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিভিন্ন আইনি জটিলতা, আবেদনের পদ্ধতিতে ত্রুটি-সহ যাবতীয় বাধা কাটিয়ে অবশেষে ভারতের মাটিতে শুরু হতে পারে রাশিয়ার তৈরি করোনা ভাইরাসের টিকা স্পুটনিক ফাইভের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। স্পুটনিক ফাইভ (Sputnik V) ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে ড. রেড্ডি’স ল্যাব (Dr. Reddy’s Laboratories)। তাঁদের তত্ত্বাবধানেই দেশের মাটিতে এই ভ্যাকসিনটির চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল হবে। এই ট্রায়াল প্রক্রিয়া অনেকদিন আগেই শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রেড্ডি’স ল্যাবের আবেদন পদ্ধতিতে ত্রুটি থাকার দরুন তা সম্ভব হয়নি। এবার সরকারি ছাড়পত্র মেলায় ট্রায়ালের প্রস্তুতি শুরু করেছে ড. রেড্ডি’স ল্যাব।
রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ফাইভ প্রকাশ্যে আসার পরই ড. রেড্ডি’স ল্যাব প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধে। ভারতে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য গত ৩ অক্টোবর প্রথম আবেদন করে সংস্থাটি। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন জানায়, আবেদনকারীরা ভ্যাকসিনটির সুরক্ষা সংক্রান্ত উপযুক্ত তথ্য দিতে পারেনি। ফলে ট্রায়ালের প্রক্রিয়া থমকে যায়। ১৩ অক্টোবর নতুন করে সরকারের কাছে ট্রায়ালের অনুমতি চেয়ে আবেদন করে ড. রেড্ডি’স ল্যাব। এবারে সেন্ট্রাল ড্রাগ স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন অনুমতি দিয়েছে বলে সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের দাবি। পিটিআই সূত্রের দাবি, এই ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্বে ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে এবং তৃতীয় পর্বে ১৪০০ জন স্বেচ্ছাসেবীর শরীরে প্রয়োগ করা হবে।
এদিকে মার্কিন সংস্থা ফাইজার (Pfizer) দাবি করেছে, তাঁদের তৈরি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন নভেম্বর মাসেই বাজারে চলে আসতে পারে। ফাইজারের দাবি, ভ্যাকসিনটির সুরক্ষা এবং কার্যকারিতা প্রমাণ করতে মোট ৪৪ হাজার মানুষের উপর এটি প্রয়োগ করা হয়েছিল। সেই ট্রায়ালের ফলাফল আগামী মাসেই প্রকাশ্যে আসবে। তারপরই ভ্যাকসিন বাজারজাত করা হবে। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে মোট ১৫০টি সংস্থা ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। এদের মধ্যে ১০টি সংস্থা আছে ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.