সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অঙ্কিতা ভাণ্ডারি খুনের তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই যেন প্রকাশ্যে আসছে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যর ছেলে পুলকিত আর্যর কুকীর্তি। ওই বিজেপি (BJP) নেতার রিসর্টে নাকি নিয়মিত বসত মধুচক্রের আসর। পাল্লা দিয়ে চলত মদ, ড্রাগের ব্যবসা। এমনটাই জানিয়েছেন ওই রিসর্টের আরেক কর্মী।
ঋষিতা নামের এক রিসর্ট কর্মী জানিয়েছেন, “রিসর্টের ম্যানেজমেন্ট অতিথিদের বেআইনিভাবে মদ পৌঁছে দিত। গাঁজা সরবরাহ করত। অন্যান্য ড্রাগও দেওয়া হত। শুধু তাই নয়, অতিথিদের ঘরে মেয়েদেরও পাঠানো হত।” ঋষিতা নামের ওই রিসেপশনিস্টের স্বামী বিবেকও বিজেপি নেতার ওই রিসর্টেই কাজ করতেন। তাঁরা স্পষ্টতই বলছেন, পুলকিত আর্যর রিসর্টে দেদার মধুচক্র চলত। ঋষিতার অভিযোগ, অঙ্কিতার মতো তাঁকেও মধুচক্রে নামাতে চাইত কর্তৃপক্ষ। এমনকী তাকে আজেবাজে কথাও বলা হত। বিবেকের দাবি, তিনি এইসব নিয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে চোর বদনাম দিয়ে তাঁকে মারধর করা হয়।
অঙ্কিতা ভাণ্ডারি খুনে অভিযুক্ত পুলকিত যে গভীর জলের মাছ, সেটা খুনের ধরনেই বোঝা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, অঙ্কিতার (Ankita Bhandari) মতো তরুণী রিসেপশনিস্ট এবং রিসর্টের অন্যান্য মহিলা কর্মীদের বাধ্য করা হত অতিথিদের ‘স্পেশ্যাল সার্ভিস’ দিতে। অঙ্কিতাকেও পুলকিত অতিথিদের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু অঙ্কিতা তাতে রাজি হননি। পুলকিতের চাপের পরই নিজের বান্ধবীকে তিনি মেসেজ করেন,’আমি গরিব হতে পারি কিন্তু মাত্র ১০ হাজার টাকার জন্য নিজেকে বিক্রি করে দিতে পারব না।’
পুলিশ (Uttarakhand Police) সূত্রের খবর, গত ১৮ সেপ্টেম্বর পুলকিত, তাঁর রিসর্টের ম্যানেজার এবং এক কর্মী কাজের নামে অঙ্কিতাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। খালের ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে মদ্যপান করে। এরপরই অঙ্কিতার সঙ্গে তাদের ঝগড়া শুরু হয়। রাগে তিনজন মিলে ১৯ বছরের তরুণীকে খালের ধার থেকে ফেলে দেয়। আপাতত অভিযুক্ত ৩ জনই পুলিশ হেফাজতে। রিসর্টটিও গুঁড়িয়ে দিয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার। অভিযুক্ত পুলকিত আর্যর বাবা বিনোদ আর্যকেও দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.