Advertisement
Advertisement
DRDO

অতিবেগুনি রশ্মিতেই কাবু করোনা, DRDO-র যন্ত্রে ভাইরাস মুক্ত হবে মোবাইল-ব্যাগ-টাকা

এই রশ্মি ভাইরাসের আরএনএ ভেঙে ফেলতে পারে।

DRDO makes new device to kill deadly coronavirus
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:April 20, 2020 4:29 pm
  • Updated:April 20, 2020 4:29 pm  

অর্ণব আইচ: অতিবেগুনি রশ্মিতেই কাবু করোনা ভাইরাস। মোবাইল, মানিব্যাগ, ফাইল, টাকা যা-ই হোক না কেন, আলট্রাভায়োলেট রশ্মি বা ইউভিসি তার উপর ফেলা হলেই করোনা ধুয়ে-মুছে সাফ। এই রশ্মি নষ্ট করে ফেলবে কোভিড-১৯-এর আরএনএ। এমনই যন্ত্র নিয়ে এল প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও (DRDO)।

ডিআরডিও’র আওতায় থাকা দু’টি গবেষণাগার ডিফেন্স ইন্সটিটিউট অফ ফিজিওলজি অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (ডিপাস) ও ইন্সটিটিউট অফ নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (ইনমাস) যৌথভাবে তৈরি করেছে দু’টি যন্ত্র। আবার দক্ষিণ নাভাল কমান্ডও ‘ইউভি রে’ দিয়ে সাফ করার জন্য বানিয়েছে একই ধরনের যন্ত্র। ডিআরডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি যন্ত্রের মধ্যে একটি হচ্ছে ‘ইউভি স্যানিটাইজেশন বক্স’ ও অন্যটি হচ্ছে ‘হ্যান্ড হেল্ড ইউভি ডিভাইস’। সেনাবাহিনী বা সরকারি অফিসগুলি নিজেদের জন্য এগুলি ব্যবহার করতে পারবেই। এছাড়াও সাধারণ মানুষের হাতেও যাতে এই যন্ত্রগুলি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছেন ডিআরডিও আধিকারিকরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুসলিমদের করোনা পরীক্ষার পরই ভরতি নেওয়া হবে! বিতর্কিত বিজ্ঞাপনের জন্য ক্ষমা চাইল হাসপাতাল]

ডিআরডিও’র বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিবেগুনি রশ্মি বা ‘আলট্রাভায়োলেট সি লাইট’ ক্ষমতা রাখে কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের জেনেটিক বস্তু নষ্ট করে দেওয়ার। এই রশ্মি কিছুক্ষণের জন্য কোনও বস্তুর উপর ফেলা হলে ভাইরাসের আরএনএকে ধ্বংস করে। এই বিষয়ে ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডা. সিদ্ধার্থ জোয়ারদার জানান, ইউভি রশ্মি ভাইরাসের ডিএনএ ও আরএনএ দু’টিকেই নষ্ট করতে সক্ষম। এই রশ্মি ভাইরাসের আরএনএ ভেঙে ফেলতে পারে। তার ফলে আর নতুন করে ভাইরাস তৈরি হতে পারবে না। ভাইরাস না বাড়তে পারলে সংক্রমণও ছড়াবে না।

ডিআরডিও’র বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হাতে বা সঙ্গে থাকা জিনিসের থেকেও ছড়াতে পারে করোনা। তার মধ্যে যেমন রয়েছে মোবাইল ফোন বা ট্যাব, তেমনই রয়েছে মানিব্যাগ, টাকা বা ফাইলের কভার। এই বস্তুগুলিতে যদি করোনা ভাইরাস থাকেও, ইউভি রশ্মি তাকে নষ্ট করবে। তার জন্যই তৈরি করা হয়েছে ‘ইউভি বক্স’। এই বাক্সের ভিতরই রয়েছে ‘ইউভিসি ল্যাম্প’। সেগুলি বাক্সের ভিতর সার বেঁধে রাখা। বাক্সের ভিতর রাখতে হবে বস্তুগুলি। ল্যাম্প থেকে রশ্মি বস্তুর উপর পড়লে নষ্ট হচ্ছে ভাইরাস। আবার এই ল্যাম্পগুলি ওজোন গ্যাস তৈরি করে। বস্তুর যে অংশে রশ্মি লাগছে না, সেই অংশে থাকা ভাইরাস নষ্টে সাহায্য করে ওজোন গ্যাসও। কেউ যদি আংটি খুলে এই বাক্সে রাখেন, তাও ফলপ্রসূ হতে পারে।

Tube

[আরও পড়ুন: করোনায় কলকাতা-সহ চার নগরের অবস্থা ‘বিশেষভাবে উদ্বেগের’, ঘোষণা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের]

আবার বাড়ি বা অফিসের চেয়ার, ফাইল, পোস্টে বা কুরিয়রে আসা কোনও চিঠি বা জিনিস, এমনকী ডেলিভারি অ্যাপে আসা খাবার বা ওষুধের প্যাকেটের উপর থাকা করোনা ভাইরাস কাবু করতে গেলে ব্যবহার করা যেতে পারে ‘হ্যান্ড হেল্ড ডিভাইস’। এই ডিভাইস থেকে বের হওয়া রশ্মি মিনিটখানেকের মধ্যেই ধ্বংস করবে ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত। ডিআরডিও’র দাবি, স্যানিটাইজেশন করার জন্য অনেক সময় যে রাসায়নিকগুলি ব্যবহার করা হয়, সেগুলি ক্ষতিকর। কিন্তু অতিবেগুনি রশ্মি পরিবেশ বান্ধব ও সেদিক থেকে ক্ষতিকর নয়। তবে ভাইরাস বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিবেগুনি রশ্মি বস্তুর উপর থাকা ভাইরাস ধ্বংস করলেও শরীরের সংস্পর্শে এলে তা মানুষের ক্ষতি করতেই পারে। বিশেষ করে চোখের পক্ষে এই রশ্মি খুবই ক্ষতিকর। তাই বাড়িতে খুব সাবধানে ব্যবহার করতে হবে এই যন্ত্র। বিশেষ করে যে বাড়িতে শিশুরা রয়েছে, সেই বাড়িতে এই যন্ত্র ব্যবহার না করাই ভাল বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement