প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রশ্নের মুখে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘নির্ভয়’ মিসাইলের কার্যক্ষমতা। সোমবার, ওড়িশা উপকূল থেকে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হয় ক্ষেপণাস্ত্রটি। তবে ছোঁড়ার ৮ মিনিট পরই আচমকা মিসাইলটির মিশন বাতিল করে দেয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (DRDO)।
During the flight test of Nirbhay sub-sonic cruise Missile, it developed a snag. The details of the snag are being ascertained: DRDO (Defence Research and Development Organisation) officials
— ANI (@ANI) October 12, 2020
DRDO সূত্রে খবর, এদিন সকাল ১০.৩০ নাগাদ বঙ্গোপসাগরে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সাবসোনিক ‘নির্ভয়’ মিসাইলটি ছোঁড়া হয়। তবে উৎক্ষেপণের ৮ মিনিট পর যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দেওয়া মিশন বাতিল কড়ে দেওয়া হয়। ফলে মাঝ সমুদ্রে আছড়ে পরে ধ্বংস হয়ে যায় ক্ষেপণাস্ত্রটি। তবে ঠিক কী সমস্যা দেখা দিয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ফলে মিসাইলটির কার্যক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার দাবি, আগামী মাসে ফের ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হবে। এনিয়ে বিগত ৩৫ দিনে ১০টি মিসাইল উৎক্ষেপণ করল ভারত।
উল্লেখ্য, ‘ড্রাগন’কে উচিত শিক্ষা দিতে আগেই লাদাখ সীমান্তে (LAC) ‘নির্ভয়’ মিসাইল মোতায়েন করেছিল ভারত। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ফৌজে অন্তর্ভুক্তি হয়নি ক্ষেপণাস্ত্রটির। কিন্তু হানাদার চিনা বাহিনীকে জবাব দিতে অন্তর্ভুক্তির আগেই বেশ কয়েকটি মিসাইল ইউনিট প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army)। আগামী মাসেই সপ্তম দফার পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা হবে নির্ভয় মিসাইলের। তারপরই ভারতের স্থলসেনা ও নৌসেনার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়া হবে এই ক্ষেপণাস্ত্র। কিন্তু চিনের সঙ্গে লড়াইয়ের আবহে সীমান্তে প্রতিরক্ষা ও আক্রমণের ক্ষমতা বৃদ্ধ করতে অনুষ্ঠানের আগেই বেশ কয়েকটি নির্ভয় মিসাইল সিস্টেম মোতায়েন করেছে নয়াদিল্লি। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কঠিন জ্বালানিতে চলা এই সাবসোনিক মিসাইল ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম। শত্রুপক্ষের রাডারের চোখে ধুলো দিতে জমি বা সমুদ্রপৃষ্ট ঘেঁষে নিশানায় দিকে উড়ান ভরে মিসাইলটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.