সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এয়ার ইন্ডিয়াও কিংফিশারের মতো সর্বস্বান্ত হয়ে যাক, তা মোটেই চায় না সরকার। চায় না, তা বিলুপ্ত হয়ে যাক। বিমানকর্মীরা কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়ুক এমনটাও চায় না সরকার। রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটিকে নিয়ে বুধবার লোকসভায় একথাই বললেন বিমানমন্ত্রী অশোক গজপতি রাজু। পাশাপাশি তিনি জানান, ২৮ জুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ঋণের ভারে জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছিল।
[গরু গুনতে ৮ কোটি খরচ যোগী সরকারের, প্রতিবাদ বিরোধীদের]
এদিন লোকসভার প্রশ্নপর্বে রাজু বলেন, “আমরা চাই না এয়ার ইন্ডিয়ায় কর্মরত কেউ চাকরি খোয়াক। মিডিয়া ব্যারন বিজয় মালিয়ার কিংফিশারের মতো এই এয়ারলাইনও ‘বিলুপ্ত’ হয়ে যাক এমনটা কখনওই চায় না সরকার। বরং চাই, দেশের হয়ে কাজ করুক সংস্থাটি। পরিষেবা দিক দেশবাসীকে। তাঁদের অনেক উঁচুতে ওড়ার স্বপ্ন পূরণ করুক।” রাজু জানান, এয়ার ইন্ডিয়ার বিলগ্নিকরণ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রিসভার একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর নেতৃত্বে রয়েছে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সাংসদ-সহ যে কেউ এ বিষয়ে নিজেদের পরামর্শ দিতে পারেন। যুক্তিগ্রাহ্য হলে তা নিশ্চই গ্রহণ করা হবে বলেও আশ্বস্ত করেন। তবে স্টেক সেল-সহ চূড়ান্ত কার্যবিধি নির্ধারণ করবেন জেটলির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীদের একটি দলই। সেখানে কেউ নাক গলাতে পারবেন না। তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন রাজু।
[আরও এক মোগলি, এবার দেখা মিলল দক্ষিণ ভারতে]
প্রায় ৫২ হাজার কোটি টাকা ঋণের দায় জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়া। সংস্থাটিকে বাঁচাতে ২০১২ সালে তদানীন্তন ইউপিএ সরকার ৩০ হাজার কোটি টাকার অর্থসাহায্য করেছিল। বর্তমানে করদাতাদের দেওয়া টাকায় চলছে সংস্থাটি। একপ্রকার ধুঁকছে বলা চলে। বিমানমন্ত্রী রাজুর দাবি, এই করুণ অবস্থা থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটিকে বাঁচাতেই সাধ্যমতো চেষ্টা করে চলেছে সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.