সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ৪ মাসে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) কুনো জাতীয় উদ্যানে একের পর এক চিতামৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখেও পড়ল কেন্দ্র। তিন সদস্যের বেঞ্চের তরফে মোদি সরকারকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হল, দ্রুত পরিস্থিতির মোকাবিলায় সদর্থক পদক্ষেপ করার জন্য।
এদিন বিচারপতি বি আর গাভাইকে বলতে শোনা যায়, ”গত সপ্তাহে দু’টি মৃত্যু হয়েছে। কেন বিষয়টা প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে উঠছে? দয়া করে কিছু সদর্থক পদক্ষেপ করুন। কেন এদের সকলকে একজায়গায় রাখা হল বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে না রেখে?” কেন্দ্রের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, সরকার তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে এই সমস্যার সমাধানে।
কিন্তু বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, ”এক বছরের মধ্যে ৪০ শতাংশের মৃত্যু খুব ভাল কোনও ছবি তুলে ধরছে না। ২০টি চিতার মধ্যে ৮টিই মারা গিয়েছে।” এর উত্তরে অ্যাডিশনাল সলিসটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি বলেন, ”এটা কিন্তু প্রত্যাশিতই ছিল। ৫০ শতাংশ প্রাণীর মৃত্যু স্থানান্তরের ক্ষেত্রে স্বাভাবিক।” এরপর বিচারপতি পার্দিওয়ালা জানতে চান, ”তাহলে বিষয়টা কী? এখানকার আবহাওয়া কি ওদের সহ্য হচ্ছে না? নাকি কিডনি অথবা শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা?” ঐশ্বর্য যার উত্তরে জানান, এক্ষেত্রে সংক্রমণই সবচেয়ে বড় কারণ। মামলার পরবর্তী শুনানি ১ আগস্ট।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই মৃত্যু হয়েছে তেজস ও সুরজ নামের দু’টি চিতার (Cheetah)। তাই এহেন ঘটনা রুখতে বিশেষ পদক্ষেপ করছে বনদপ্তর। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে, দশটি চিতার রেডিও কলার খুলে ফেলা। শেষপর্যন্ত এভাবে চিতামৃত্যুতে (Cheetah death) রাশ টানা যাবে কিনা তা সময়ই বলবে। আপাতত শীর্ষ আদালতে অস্বস্তিতে কেন্দ্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.