সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে আটকে পড়া সকল পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজের রাজ্যে আশ্রয় দেওয়ার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। পাশাপাশি তাদের জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চাহিদা পূরণ করার ও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করেন উদ্ধব ঠাকরে।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনায় বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র। বাকি রাজ্যগুলির তুলনায় এই রাজ্যে লাফিয়ে বেড়েছে মৃত্যুমিছিল। তাই অন্য রাজ্যগুলির মত এই রাজ্যে আটকে পড়ে শ্রমিকরা দ্রুত নিজেদের রাজ্যে ফেরার ব্যস্ততায় দিন কাটাচ্ছেন। একদিকে লকডাউনের জেরে দেশে বন্ধ সমস্ত গণপরিবহন অন্যদিকে পকেটে টান পড়ায় ক্রমশ হতাশা গ্রাস করছে পরিযায়ী শ্রমিকদের। তাই কোনও বাধা, কোনও নিয়ম না মেনে কেউ কেউ হেঁটেই পার করছে কয়েকশো কিলোমিটার রাস্তা। তবে এইভাবে চলতে থাকলে লকডাউন পরিস্থিতিতেও করোনা সংক্রমণের প্রভাব আটকানো দায় হয়ে যাবে সরকার-সহ চিকিৎসকদের পক্ষে। তাই কাজ করতে গিয়ে অন্য রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের সেই রাজ্যে আপাতত থাকার পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় সরকার। পাশাপাশি সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদেরই এই শ্রমিকদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করার আবেদন জানান। সেই প্রসঙ্গে আজ সাংবাদিক বৈঠক করে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”রাজ্য সরকারের ‘শিব ভোজন’ নামে প্রকল্পের আওতায় দুপুরের খাবারের মূল্য ১০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫ টাকা করে দেওয়া হল। ১ এপ্রিল থেকে এই নিয়ম রাজ্যে কার্যকর হবে। রাজ্যের ১৬৩ টি সেন্টারে পরিযায়ী শ্রমিকদের খাবার ও জল দেওয়া হবে। আতঙ্কিত হয়ে এই শ্রমিকদের লকডাউনের সময় নিজের রাজ্যে ফেরার চেষ্টা করার প্রয়োজন নেই। করোনায় সংক্রমণ যাতে না বৃদ্ধি পায় তাই তাদের সকলকে আমি এই রাজ্যে থেকে যাওয়ার আবেদন করছি।”
লকডাউন জারি হওয়ার পর দেখা যায় বেশিরভাগ শ্রমিকরাই কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর লকডাউনের ঘোষণা শুনে অনেক কারখানাই তড়িঘড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মুশকিলে পড়েছেন ভিন রাজ্যে কর্মরত শ্রমিকেরা। প্রস্তুতি নিয়ে নিজের বাড়ি ফেরার আগেই সমস্ত সরকারি পরিষেবা বন্ধ যায়। ফলে আটকে পড়েন তারা। কিছু পরিযায়ী শ্রমিকেরা হেঁটেই বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। কেউ বা ট্রাক, টেম্পো জোগাড় করে তাতে করেই বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেন। তাই তাদের আশ্বস্ত করলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.