সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যুতে ফের কড়া অবস্থান গ্রহণ ভারতের। এবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তায়েপ এরদোগানকে ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর’ স্পষ্ট বার্তা দিল বিদেশমন্ত্রক।
শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ নিয়ে পাকিস্তানের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন এরদোগান। গতকাল ইসলমাবাদে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। তারপরই কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের সুরে সুর মিলিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাশ্মীরি ভাইবোনেরা কয়েক দশক থেকে যাতনা সহ্য করছেন। সদ্য এক পক্ষের নেওয়া কয়েকটি সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।” নাম না করে ভারতকে বিঁধে এরদোগান আরও বলেন, “পাকিস্তানের মতোই কাশ্মীর ইস্যুকে অত্যন্ত কাছের বলে আমরা মনে করি। এই সমস্যার সমাধানে সমস্ত সম্ভব প্রয়াস করবে তুরস্ক।”
এরদোগানের মন্তব্যের পরই রীতিমতো চায়ের কাপে তুফান তৈরি হয়। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রাবিশ কুমার বিবৃতি প্রকাশ করে বলেন, “ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকুক তুরস্ক। তাদের উচিত গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরিস্থিতির সঠিক মূল্যায়ন করা। এই মুহূর্তে পাকিস্তান থেকে উৎপন্ন সন্ত্রাসবাদ গোটা অঞ্চলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।” উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেও রাষ্ট্রসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তুরস্ক। তারপর থেকেই নয়াদিল্লি ও আঙ্কারার সম্পর্কে বরফ জমেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, উগ্র ইসলামপন্থী এরদোগানের কাশ্মীর নীতি অনেকটাই তার দেশের রাজনীতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে তৈরি করা। এবার মুসলিম বিশ্বে ইসলামের ধ্বজাধারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে কাশ্মীর তাশ খেলেছেন তিনি। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেরলের জেহাদিদের হাতে অর্থ আসছে দুবাই, তুরস্ক থেকে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, একাধিক জেহাদি সংগঠনের সদস্যরা সেই আর্থিক সাহায্যের জন্য গত বছরের সেপ্টেম্বর ৯ থেকে ১৯ পর্যন্ত দুবাই গিয়েছিল। সেখান থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য নিয়ে এসেছে তারা।
[আরও পড়ুন: ‘উন্নয়নশীল দেশের’ তালিকা থেকে ভারতকে বাদ দিল আমেরিকা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.