সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঊর্ধ্বমুখী করোনার (Coronavirus) গ্রাফ। দ্বিতীয় ঢেউ ঘিরে আশঙ্কা আর আতঙ্ক বাড়ছে মানুষের মনে। কিন্তু তার মানেই লকডাউন (Lockdown) নয়। অন্তত এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও আশঙ্কার ঘন মেঘ ঈশান কোণে দেখছেন না রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) গভর্নর।
বৃহস্পতিবার দেশজোড়া লকডাউন শুরুর বর্ষপূর্তি ছিল। এক বছর আগে এই দিন থেকেই অতিমারীর আতঙ্কে সরকারি নির্দেশে নিজেদের ঘরবন্দি করে ফেলেছিল দেশসুদ্ধ মানুষ। এক বছর পর ফের যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তখন কি ফের লকডাউনের আশঙ্কা রয়েছে— এই প্রশ্নটাই ঘুরছে সাধারণ মানুষের মনে। কিন্তু বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ (Shaktikanta Das) বলেন, “করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়া নিঃসন্দেহে অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। কিন্তু তার বড় কোনও প্রভাব দেশের অর্থনীতির উপর পড়বে না। কারণ কোনওভাবেই অদূর ভবিষ্যতে লকডাউনের আভাস মিলছে না।”
ইন্ডিয়া ইকোনমিক কনক্লেভ ২০২১-এ আরবিআই গভর্নর বলেন, “আমাদের কাছে অর্থনীতি ফের চাঙ্গা করার জন্য ‘বিমা’ রয়েছে। যে দ্রুত গতিতে টিকাকরণ চলছে তাতে মানুষের মধ্যে করোনা প্রতিরোধে অনেক বেশি ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে।” একই সঙ্গে সামনে লকডাউন করার মতো পরিস্থিতিও তিনি দেখছেন না বলে দৃঢ় ভাষায় জানিয়েছেন গভর্নর।
এদিন শক্তিকান্তবাবু বলেন, “সারা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ফের বাড়ছে। এটা খুবই উদ্বেগের বিষয়। কিন্তু একই সঙ্গে আমার মাথায় অর্থনীতি নিয়ে চিন্তা রয়েছে। অর্থনীতিকে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে যে পদক্ষেপ ও উদ্যোগ চলছে, তা কোনওভাবেই ব্যাহত হতে দেওয়া চলবে না। তবেই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে গতি আসবে। প্রাথমিক বিশ্লেষণ বলছে, আগামী অর্থবর্ষে জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস ১০.৫ শতাংশই থাকছে। আগেও আমরা এই তথ্য দিয়েছিলাম। এবং তার বদল করার কোনও কারণ ঘটেনি।”
বুধ ও বৃহস্পতিবারের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী মহারাষ্ট্র এবং শহর মুম্বইয়ে করোনাকালের সবচেয়ে বেশি একদিনের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা পাওয়া গিয়েছে। ভাইরাসটির নতুন একটি স্ট্রেনও মিলেছে একাধিক জায়গায়। দেশের বিভিন্ন জায়গায় যেখানে সংক্রমণের প্রবণতা বেশি, সেখানে আঞ্চলিকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ। রাতে জারি করা হয়েছে কারফিউ। তবে এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্রে যতটা সংক্রমণ, ততটা অন্যান্য রাজ্যে নয়। ফলে লকডাউন করে সংক্রমণ প্রতিরোধের পথে হাঁটতে চাইছে না কেন্দ্র। গত বছর লকডাউনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাণিজ্য ক্ষেত্র। জিডিপির হার সাত শতাংশের বেশি পড়ে যায়। শক্তিকান্তবাবু জানান, করোনাকালে আক্রান্ত মানুষকে সাহায্য করতে ২৭৪ কোটি টাকার সরাসরি সাহায্যের লেনদেন হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.