Advertisement
Advertisement
Bilkis Bano Rape Case

‘আদালত নয়, বিলকিসের ধর্ষকদের মুক্তি দিয়েছে গুজরাট সরকার’ মুখ খুললেন বিচারপতি 

দোষীদের কারাদণ্ডের সাজা বহাল রেখেছিলেন সংশ্লিষ্ট বিচারপতি।

'Don't blame judiciary', says judge in charge of Bilkis Bano rape case | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:August 19, 2022 2:58 pm
  • Updated:August 19, 2022 4:29 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিলকিস বানো গণধর্ষণে (Bilkis Bano Gang Rape) দোষীদের মুক্তি দেওয়া নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। কেন দোষীদের শাস্তি মকুব করা হল, সেই প্রশ্ন তুলে বিচারব্যবস্থার সমালোচনা করেছেন সধারণ মানুষ। সেই প্রসঙ্গে এবার সরব হয়েছেন বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর। প্রসঙ্গত, এগারোজন দোষীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল রেখেছিলেন তিনি। মৃদুলা বলেছেন, অপরাধীদের সাজা মকুব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুজরাট সরকার। তাতে আদালতের কোনও ভূমিকা নেই।

২০০২ সালে বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ করার অভিযোগে এগারোজনকে যাবজ্জীবন ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসেই তাদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে দেয় গুজরাট সরকার। ধর্ষকদের মালা পরিয়ে মিষ্টি দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে। দোষীদের মুক্তি দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী দলগুলি। বিলকিস বানো স্বয়ং বলেন, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি। সাধারণ মানুষও আদালতকে দায়ী করতে থাকেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: প্যাংগং লেকে শক্তিপ্রদর্শন ভারতীয় ফৌজের, আবারও ঘনাচ্ছে সংঘাতের মেঘ?]

এহেন পরিস্থিতি নিয়ে সরব হয়েছেন বিচারপতি মৃদুলা ভাটকর। তিনি বলেছেন, “আমি বুঝতে পারছি না কেন মানুষ বিচারব্যবস্থাকে দোষারোপ করছে। আমি সকলকে জানাতে চাই, মানবাধিকার রক্ষা করার জন্য বিচারপতিরা যথাসম্ভব চেষ্টা করেছেন।” সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, “অকারণ সমালোচনা শুনতে আমাদেরও খারাপ লাগে। নিজেদের সপক্ষে বলার মতোও কিছু থাকে না।” প্রসঙ্গত, ধর্ষকদের সঙ্গে অভিযুক্ত পুলিশকর্মী এবং ডাক্তারদেরও যেন শাস্তি দেওয়া হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন ভাটকর।

অন্যদিকে, ধর্ষকদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেওয়ার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। সেই পিটিশনে সই করেছেন প্রায় ছয় হাজার মানুষ। পিটিশনে বলা হয়েছে, “এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রত্যেক ধর্ষিতার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠাণ্ডা স্রোত। আইনের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবেন তাঁরা। এই সিদ্ধান্তের ফলে ধর্ষকরাও এহেন ঘৃণ্য কাজ করতে আরও বেশি উৎসাহী হয়ে উঠবে।” মানবাধিকার কর্মী থেকে শুরু করে শ্রমিক, পিটিশনে সই করেছেন সমাজের সকল স্তরের মানুষ।

[আরও পড়ুন: পরকীয়া করছেন স্বামী, সন্দেহ হতেই পুরুষাঙ্গে গরম জল ঢাললেন স্ত্রী]

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement