আরএসএস নেতা ইন্দ্রেশ কুমার।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও সন্ত্রাসবাদী হামলার প্রতিবাদে ক্ষোভের আগুনে ফুঁসছে গোটা দেশ। ‘সহনশীল’ তকমা ছেড়ে এবার পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার দাবি তুলেছে দেশবাসী। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই দেশের মুসলিম সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বার্তা দিলেন রাষ্ট্রীয় সয়ংসেবক সংঘের শীর্ষ নেতা ইন্দ্রেশ কুমার। তাঁর আর্জি, জঙ্গিদের উদ্দেশে কোনও সহমর্মিতা নয়। ওদের কবরের জন্যও জায়গা দেবেন না। এমনকী সন্ত্রাসীদের শেষকৃত্যেও যেন কেউ যোগ না দেন।
পহেলগাঁও ইস্যুতে মঙ্গলবার জম্মুতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ইন্দ্রেশ কুমার বলেন, “জঙ্গিদের কোনও ধর্ম হয় না। ওরা শয়তান ছাড়া আর কিছুই নয়। যখন আপনি কোনও জঙ্গির মৃত্যুতে তার জন্য নামাজ পড়েন, তাদের শেষকৃত্যে যোগ দেন অথবা কবরস্থানে তাদের জায়গা দেন, তার অর্থ দাঁড়ায়, আপনি স্বীকার করে নিচ্ছেন ওরা একটি ধর্মের সঙ্গে যুক্ত। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “গত ৪০-৫০ বছর ধরে এটাই হয়ে চলেছে দেশে। এখনও জঙ্গিদের মৃত্যুতে তাদের উদ্দেশে নামাজ পড়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা প্রশ্ন তুলবে।”
উপত্যকার মানুষের উদ্দেশে আরএসএস নেতার বার্তা, “যদি ২০-৩০ বছর আগে এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হত, তাহলে হয়ত জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি অন্যরকম হত। কোনও জঙ্গিকে সম্মান দেওয়া চরম অপরাধ।” শুধু তাই নয়, ভারতের মুসলিমদের ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে আসার অনুরোধ জানান আরএসএস নেতা। বলেন, “মুসলিমদের উচিত এই ঘৃণ্য রাজনীতির বাইরে বেরিয়ে দেশের উন্নতির বিষয়টিকে মাথায় রেখে ভোট দেওয়া।” পহেলগাঁও কাণ্ডে মৃতদের সম্মানে স্মৃতিসৌধ তৈরির প্রস্তাবও দেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ পর্যটক-সহ এক স্থানীয় নাগরিকের। জানা গিয়েছে, সেনার পোশাকে এসে ধর্ম জিজ্ঞাসা করে বেছে বেছে খুন করা হয় ওই পর্যটকদের। প্রথমে এই হামলার দায় স্বীকার করেও পরে তা অস্বীকার করে লস্কর ই তইবার ছায়া সংগঠন টিআরএফ। কাশ্মীরের মাটিতে সন্ত্রাস চালাতে এই সংগঠনকে জল-সার দিয়ে মহীরুহ করে তুলেছে পাক সেনা ও আইএসআই। এই হামলার নেপথ্যেও প্রকাশ্যে এসেছে পাক যোগ। এই ইস্যুতেই এবার জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের মুসলিম সম্প্রদায়কে একজোট হওয়ার বার্তা দিল আরএসএস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.