Advertisement
Advertisement
Ayodhya Masjid

অযোধ্যার মসজিদে নামাজ ‘হারাম’! ওয়েইসির মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

এই মসজিদের জন্য চাঁদা দেওয়াকেও 'হারাম' বলে কটাক্ষ করেন তিনি।

Donating for construction or praying at Ayodhya Masjid is 'haraam', claims Owaisi; Trust hits back | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:January 28, 2021 12:06 pm
  • Updated:January 28, 2021 1:54 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অযোধ্যা মসজিদের (Ayodhya Masjid) নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে সাধারণতন্ত্র দিবসে। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে কাজ শুরু করেছে ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট। আর মঙ্গলবারই এক জনসভায় বিস্ফোরক মন্তব্য করেন AIMIM সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়েইসি (Asaduddin Owaisi)। অযোধ্যার নির্মীয়মাণ মসজিদে প্রার্থনা করলে তা ‘হারাম’ হবে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এবার তাঁকে পালটা দিল ট্রাস্ট। জানিয়ে দিল, যেখানে সর্বশক্তিমান আল্লার উদ্দেশে প্রার্থনা করা হয়, তা কখনও ‘হারাম’ হতে পারে না।

ঠিক কী বলেছিলেন ওয়েইসি? মঙ্গলবার তাঁকে বলতে শোনা যায়, অযোধ্যায় যে মসজিদ হবে সেখানে প্রার্থনা করা কিংবা তার জন্য চাঁদা দেওয়া হারাম। তাঁর কথায়, ”ওই মসজিদে কোনও মুসলিমের প্রার্থনা করা উচিত নয়। মসজিদটির জন্য চাঁদা দেওয়ার থেকে কোনও গরিব মেয়ের বিয়েতে সাহায্য করা উচিত।” তাঁর আরও দাবি, একথা তিনি নিজে থেকে বলছেন না। ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড’-এর উলেমা থেকে শুরু করে বহু ধর্মীয় উচ্চশিক্ষিতর সঙ্গে এই নিয়ে কথা হয়েছে তাঁর। এবং সকলেই এই দাবি করেছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ত্বকের সঙ্গে ত্বকের সংস্পর্শ মামলায় বম্বে হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ শীর্ষ আদালতের]

স্বাভাবিকভাবেই ওয়েইসির এই ধরনের কথায় প্রবল অসন্তুষ্ট ট্রাস্ট। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাস্টের সম্পাদক আফতার হোসেন ওয়েইসির প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ওয়েইসি এমন এক অঞ্চলে বড় হয়েছেন, যেখানে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের তেমন প্রভাব পড়েনি। তিনি এও দাবি করেন, ওয়েইসির পূর্বপুরুষরা হয়তো ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহেও অংশ নেননি। অযোধ্যা যে ইংরেজদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের এক পুণ্যভূমি সেকথা উল্লেখ করে আহমাদুল্লা শাহের প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। মনে করিয়ে দেন, ফৈজাবাদকে ইংরেজদের হাত থেকে অন্তত এক বছরের জন্য স্বাধীন করেছিলেন আহমাদুল্লা। তাঁর প্রশ্ন, ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনকে উৎসর্গ করা হয়েছে এই স্বাধীনতা সংগ্রামীর নামে। এটাও কি ওয়েইসির কাছে ‘হারাম’?

প্রসঙ্গত, ছ’মাস আগে মসজিদ গঠনের জন্য তৈরি হয়েছিল ‘ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট’। ট্রাস্টের সদস্যদের একাংশ চেয়েছিলেন, ২৬ জানুয়ারিই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হোক। যেহেতু ওই ঐতিহাসিক দিনেই ভারতীয় সংবিধান কার্যকর হয়েছিল, তাই সেই দিনটিকেই তাঁরা বেছে ন‌িতে চেয়েছিলেন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের দিন হিসেবে। এদিন মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়নি। মাটি পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এরপর নকশা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।

[আরও পড়ুন: শিক্ষক-পুলিশ সংঘর্ষে রণক্ষেত্র আগরতলা, জারি ১৪৪ ধারা]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement