ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরেই দেশে গরুর গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ! আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে বারবার উঠে এসেছে সংবাদের শিরোনামে। একদিকে হিন্দুত্ববাদীরা গরুকে দেবতা জ্ঞানে পুজো করার চেষ্টা করেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। বিজেপি নেতাদের কেউ কেউ আবার গরুর দুধে সোনা আছে বলে হাসির খোরাকও হয়েছে। দেশীয় গরুকে মা এবং বিদেশি গরুকে মাসি বলে ব্যঙ্গের শিকার হয়েছে।
অন্যদিকে বিজেপি বা আরএসএসকে কটাক্ষ করতে গিয়েও গরুকে হাতিয়ার করেছে বিরোধীরা। কোনও কোনও সময়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের সমালোচনা করতে গিয়ে গরুর বাচ্চা বলে কটাক্ষ করেছে অনেকে। বুদ্ধি বাড়ার জন্য গোমূত্র খাওয়ার নিদানও দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি গরুর গায়ে জ্যাকেট পরাতে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করেছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। তবে কংগ্রেসের অধীনে থাকা মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র জেলায় যে ঘটনা ঘটেছে তা মনে হয় আগে কোথাও হয়নি! সেখানে গরুকে কম্বল দান করলে বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন জেলাশাসক অনুরাগ চৌধুরি।
শনিবার প্রকাশিত হওয়া এই সংক্রান্ত নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, আত্মরক্ষার প্রয়োজনে কেউ যদি নিজের কাছে বন্দুক রাখতে চান তাহলে কোনও নথি লাগবে না। সরকারের ঘরে ব্যক্তিগত তথ্য জমা দেওয়ার কোনও দরকার নেই। তার বদলে গোয়ালিয়র জেলার যেকোনও গোশালাতে মাত্র ১০টি কম্বল দান করতে হবে। আর তার প্রমাণ জেলা প্রশাসনে দাখিল করে বন্দুকের লাইসেন্সের আবেদন করলেই কেল্লাফতে। লাইসেন্স পেতে আর কোনও অসুবিধা হবে না।
এপ্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ওই জেলাশাসক অনুরাগ চৌধুরির দাবি, এই অভিনব উদ্যোগের ফলে পরিবেশের ভাল হবে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে। যার ফলে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে সমাজে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রথম নয় এর আগেও বন্দুকের লাইসেন্স নেওয়ার জন্য অদ্ভুত শর্ত রেখেছিলেন তিনি। এই সংক্রান্ত নির্দেশিকায় উল্লেখ করেছিলেন, যদি কেউ গাছ লাগিয়ে তার যত্ন করে তাহলে নথি ছাড়াই বন্দুক ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে। এখনকার মতো তখনও বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। পরে প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে নিয়মে পরিবর্তন আনতে বাধ্য হন তিনি। কিন্তু, ফের সুযোগ পেতেই বন্দুকের লাইসেন্সের জন্য আজব নিয়ম চালু করলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.