সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোকলাম নিয়ে অনড় মনোভাব নিয়েছে চিন। জমি ছাড়তে নারাজ ভারতও। দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রায় তলানিতে। উত্তরাখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে চোখ রাঙাচ্ছে লালফৌজ। আর এ পরিস্থিতিতেই চিনের সঙ্গে বড়সড় ব্যবসায়িক চুক্তিতে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
[ চলতি আগস্টেই আছে টানা ছুটির সুযোগ, জানেন কীভাবে? ]
ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা গ্ল্যান্ড ফার্মার প্রায় ৮৬ শতাংশ শেয়ার কেনার কথা ছিল চিনা কোম্পানি সাংহাই ফোসুন ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ কোম্পানির। প্রায় ১.৩ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। মোদি সরকার তাতে সম্মতি প্রায় দিয়েই দিয়েছিল। কিন্তু ডোকলাম পরিস্থিতির জেরে শেষমেশ এই চুক্তি না করারই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। অর্থনীতি বিষয়ক সংসদীয় কমিটি এই চুক্তি বাতিল করে। এই কমিটির নেতৃত্ব দেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই।
[ ‘ভারতের অধিকাংশ মুসলমান আগে হিন্দুই ছিলেন’ ]
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় দুই দেশ-ভারত ও চিনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বেশ অটুটই ছিল। তবে সাম্প্রতিক অবস্থার অবনতি তাতেও প্রভাব ফেলল। ৬২’র পর এমন পরিস্থিতি দুই দেশের মধ্যে আগে কখনও দেখা যায়নি। কোনওভাবেই ভারতের সঙ্গে কোনও সমঝোতায় আসতে নারাজ চিন। এমনকী অজিত দোভাল নিজে চিনের সঙ্গে বৈঠক করলেও কোনও লাভ হয়নি। উলটে উত্তরাখণ্ডে ফের চিনা ফৌজের পদচারণা দেখা গিয়েছে। দুই দেশই তলে তলে সামরিক ব্যবস্থা মজবুত করছে। যুদ্ধ বাধলে কোন দেশ কতটা এগিয়ে থাকবে তার হিসেব কষতে শুরু করেছেন সমর বিশেষজ্ঞরা। এই পরিস্থিতি বাণিজ্যিক চুক্তি করা সম্ভব নয় বলেই সিদ্ধান্ত নিল ভারত। প্রস্তাবিত এই চুক্তির কাজ প্রায় সম্পন্নই হয়েছিল। এই অবস্থায় ভারতের এই সিদ্ধান্ত যে চিনকে বিশেষ বার্তা দিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ভারতের বিরাট বাজারকে যদি চিন হাতছাড়া করতে না চায়, তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আশু উন্নতি বাঞ্ছনীয়। ঘুরিয়ে সেই বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.