সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আসছে সম্প্রীতির উৎসব রাখিবন্দন। সুতোর ডোরের প্রতীকই আসলে অন্তরের টানে বাঁধা পড়ার ইঙ্গিত। কিন্তু যেখানে সেই টানই নেই, সেখানে সুতোর কোনও দাম নেই। অতএব ভারতের বাজার থেকে একরকম উধাও হয়েছে চিনা রাখি।
[ ভারতীয় সেনার থেকে তথ্য পেতে মধুচক্রের ফাঁদ চিনের ]
প্রতিবছরই রাখির আগে নানা রঙের চিনা রাখিতে সেজে ওঠে ভারত। সস্তায় চটকদারি রাখি তৈরি ও রপ্তানিতেও চিনের জুড়ি মেলা ভার। নজরকাড়া হওয়ার কারণেই দোকানদাররা এ ধরনের রাখিতে সাজিয়ে রাখতেন দোকান। কিন্তু এ বছর আর তেমনটা করছেন না। কেন? তাঁদের বক্তব্য, যে কোনও কারণেই হোক ক্রেতারা চিনা রাখি এ বছর কিছুতেই কিনতে চাইছেন না। আসল কারণ অবশ্য ডোকলাম বিবাদ। যার জেরে ভারত-চিন সম্পর্ক তলানিতে। কূটনৈতিক দিক থেকে সমঝোতার চেষ্টা চলছে। কিন্তু তলে তলে আবার যুদ্ধেরও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে দুই দেশ। এই পরিস্থিতিতেই গোটা দেশ জুড়ে দেশপ্রেমের অভূতপূর্ব জোয়ার। এমনিতেই রাখিবন্ধন উৎসবের সঙ্গে দেশপ্রেমের নিবিড় যোগাযোগ। এবারও তার প্রভাব পড়েছে। যে দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল নেই, সে দেশের পণ্যও বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিকাংশ ক্রেতা। ফলে চিনা রাখি উধাও হয়েছে ভারতীয় বাজার থেকে।
[ সেনার হাতে রাখি পরিয়ে কাশ্মীরে তেরঙ্গা ওড়ানোর স্বপ্ন এই কিশোরীর ]
গত দীপাবলির সময় চিনা আলোর ক্ষেত্রেও এই পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল। তখন ভারতের এনএসজি-তে প্রবেশে তুমুল বাধা দিয়েছিল চিন। আর তার জেরে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন দেশবাসী। কোথাও কোনও লিখিত নির্দেশিকা ছিল না। তবু সকলেই যেন অলিখিতভাবেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর এবার তো চিনের সঙ্গে মোটা অঙ্কের ব্যবসায়িক চুক্তি বাতিল করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর প্রভাবই পড়েছে রাখির বাজারে। ডোকলাম বিবাদ কেড়ে নিয়েছে রাখির সম্প্রীতির রঙও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.