সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের মাটিতে পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। শরীরের নানা ক্ষত থেকে রক্ত ঝরছে। আর সেই রক্ত চেটে দিয়ে যাচ্ছে একটি কুকুর। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh Hospital) একটি সরকারি হাসপাতালের এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়ে গেল। জরুরি বিভাগের মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন ওই ব্যক্তি, অথচ তাঁর চিকিৎসা করার জন্য কাউকে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। এহেন ঘটনার ফলে যোগীরাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠে গেল।
ভিডিওটি উত্তরপ্রদেশের কুশিনগরের জেলা হাসপাতালে তোলা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে আহত হয়ে অচৈতন্য অবস্থায় মাটিতে পড়ে রয়েছেন এক ব্যক্তি। প্রবল রক্তক্ষরণের ফলে তাঁর মুখের আদলও ঠিক মতো বোঝা যাচ্ছে না। একটি ডাস্টবিনের পাশে তিনি শুয়ে রয়েছেন। সেখানেই ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি কুকুর। মাঝে মাঝেই ওই ব্যক্তিকে চেটে দিচ্ছে কুকুরটি। ভিডিওতে আরও দেখা যাচ্ছে, আশেপাশে হাসপাতালের কেউ নেই। চিকিৎসক তো দূর, জখম ব্যক্তিকে তুলে খাটে শুইয়েও দেননি কোনও কর্মচারী।
An accident patient is lying on the floor in Kushinagar Hospital (Uttar Pardesh). A dog was licking his blood on the floor.
And @myogiadityanath once said “Kerala Should Learn From UP’s Hospitals”. pic.twitter.com/wLmei21hHA
— Maharashtra Congress Sevadal (@SevadalMH) November 3, 2022
এই ভিডিওটি ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে কুশিনগর জেলা প্রশাসন। ওই হাসপাতালের ছয়জনকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করে দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে দুই ওয়ার্ড বয় ও দুই সাফাই কর্মচারী। কুশিনগর জেলা প্রশাসক এস রাজালিঙ্গম বলেছেন, হাসপাতালে ওই সময়ে যে কর্মচারীদের ডিউটি ছিল, কাজে গাফিলতির অভিযোগে তাঁদের বরখাস্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু করা হয়েছে। অন্য একটি হাসপাতালে আহত ব্যক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আরও জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠক। সেই সঙ্গে ওই হাসপাতালের আধিকারিকদের কাছেও জবাব তলব করা হবে। ইতিমধ্যেই কুশিনগর জেলা হাসপাতালের সিএমও বলেছেন, ওই সময়ে দায়িত্ব থাকা চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.