Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh Protest

বাড়াবাড়ি হলে দিল্লি কি শান্তিসেনা পাঠাবে বাংলাদেশে? রাজীবের পথেই হাঁটবেন মোদি!

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

Bangladesh Protest: Will Delhi send peace troops to Bangladesh?
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:July 21, 2024 8:58 am
  • Updated:July 22, 2024 1:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোটা-সংস্কার আন্দোলন (Protest) ঘিরে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত তার প্রতিবেশী দেশে শান্তিসেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে কূটনৈতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারত সরকারের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এলটিটিইর হাত থেকে অস্ত্র সরাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। ভারত কি বাংলাদেশের পরিস্থিতিতেও সেদিকেই হাঁটবে? শুরু জল্পনা। 

ভারত সরকার কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি, এই সম্ভাব্য হস্তক্ষেপের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখতে দফায় দফায় আলোচনা চালাচ্ছে বলে সূত্রের খবর। একইসঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় ও বাংলাদেশি নেতৃত্বের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এ নিয়ে কোনও মন্তব‌্য করা হয়নি। বরং, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নয়াদিল্লি খুব সতর্ক পদক্ষেপ করছে। এখনও পর্যন্ত ভারত এটিকে তাদের ‘অভ‌্যন্তরীণ বিষয়’ হিসাবেই দেখছে।

Advertisement

ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নিবিড়ভাবে নজর রেখে চলেছে। তবে প্রতিবেশী দেশটির সংকট ও তার বহুমুখী তাৎপর্য নয়াদিল্লির কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সুদীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। ফলে সেখানকার যে কোনও ধরনের অস্থিতিশীলতা ভারতের নিরাপত্তার জন‌্য একটি সম্ভাব‌্য হুমকি হতে পারে। বিভিন্ন সংবাদমাধ‌্যমের প্রতিবেদনগুলিতে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে কোটা-সংস্কার নিয়ে ছাত্র বিক্ষোভে ‘নন-স্টেট অ‌্যাক্টরস’ সক্রিয়ভাবে জড়িত। এটি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। ভারতের কাছেও তেমন তথ‌্য রয়েছে।

[আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশে কীভাবে যান নিয়ন্ত্রণ, জেনে নিন বন্ধ থাকবে কোন কোন রাস্তা]

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের (Bangladesh) ওই পরিস্থিতিতে ভারত চুপ করে বসে নেই। বরং, ধীরে চলো নীতি নিলেও, নয়াদিল্লি বৃহত্তর কূটনৈতিক কৌশলের কথা ভাবছে। বরাবরের মতো এবার আর এই অস্থির পরিস্থিতির জন‌্য আইএসআই মদতপুষ্ট জামাতের ঘাড়ে দোষ চাপাতে নারাজ দিল্লি। বরং, তাদের নজর অধুনা চিন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কে। ভারত সরকার তিস্তা প্রকল্পে চিনের আগ্রহ এবং বাংলাদেশি কিছু মন্ত্রীর চিনপন্থী প্রবণতা-সহ চিনের প্রতি শেখ হাসিনার প্রশাসনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপের বিষয়ে সতর্ক রয়েছে। অভ‌্যন্তরীণ ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে ভারতের কাছে সাহায‌্য চাইতে পারে বাংলাদেশ। সে ক্ষত্রে নয়াদিল্লি যদি সেখানে শান্তিবাহিনী পাঠায়, তবে অবশ‌্যই নিজেদের কিছু দাবি-দাওয়া ঢাকার কাছে পেশ করা হবে। তবে এখন ভারত একটি সূক্ষ্ম ভারসাম‌্য রক্ষা করে চলেছে। কারণ, এই সময়ে শেখ হাসিনার সরকারের প্রতি সরাসরি সমর্থন দেখানো বা বাংলাদেশি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে প্রকাশ্য সমন্বয় আন্দোলনকারী ছাত্র এবং আমজনতার কাছে ভুল বার্তা দিতে পারে।

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল ভারতের অবস্থান সম্পর্কে বলেছেন, “আমি এটিকে ওই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসাবে দেখি।” তা সত্ত্বেও, কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জোরের সঙ্গে বলেছেন যে বাংলাদেশে হিংসা এবং আইনশৃঙ্খলার অবনতি ভারতের জন্য উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে। কূটনৈতিক মহলের একটি অংশ বিশ্বাস করে যে শেখ হাসিনা তাঁর সরকারকে রক্ষা করতে এবং পশ্চিমি সমালোচনা মোকাবিলায় ভারতের কাছ থেকে রাজনৈতিক সমর্থন চাইতে বাধ্য হয়েছেন। তার ফলস্বরূপ, সমন্বিত প্রচেষ্টা নিশ্চিত করতে ভারত তার নিরাপত্তা সংস্থা এবং মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। সেইসঙ্গে, আওয়ামি লিগ সরকার এবং ভারত উভয়ের বিরুদ্ধে বিরোধী শক্তির প্রচেষ্টা এবং ‘নন-স্টেট অ্যাক্টরস’ প্রতিরোধের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। তবে সেখানে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারত শান্তিবাহিনী পাঠাবে কি না, তা ভবিষ‌্যৎই বলবে।

[আরও পড়ুন: একুশের সমাবেশে বড় চমক, মমতার সঙ্গে মঞ্চে থাকছেন অখিলেশ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement