ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই রোগীর নাম এক৷ তার জেরেই ঘটল বিপত্তি৷ কানের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন যে রোগীর, তার হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করা হল৷ সরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে বড়সড় বিভ্রাটের ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে হল স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে৷ ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি শিশুটির বিনামূল্যে চিকিৎসার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি৷ এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করা হয়েছে৷
কোচি থেকে ১৭৫ কিলোমিটার দূরের কেরলের মালাপ্পুরমের সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভিড় জমান অনেকেই৷ সেখানেই গিয়েছিল বছর সাতের মহম্মদ দানিশ৷ তার সমস্যা নাকে৷ ওষুধে কাজ না হওয়ায় অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা৷ ধনুশ নামে এক ব্যক্তিরও ওই একই হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল৷ তাঁর হার্নিয়া হয়েছিল৷ সুস্থ হওয়ার জন্য অস্ত্রোপচার ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না৷ চিকিৎসকরা স্থির করেন, দুজনের একই দিনে অস্ত্রোপচার হবে৷ সেই মতো ব্যবস্থাও হল সব কিছু৷কিন্তু তারপরই ঘটে গেল বিপত্তি৷
অস্ত্রোপচারের পর বছর সাতেকের মহম্মদ দানিশের সঙ্গে দেখা করতে যান তার বাবা৷ তিনি দেখেন, ছেলের পেটে সেলাইয়ের দাগ৷ নাকের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হওয়া ছেলের পেটে সেলাই দেখে হতচকিত হয়ে যান৷ সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি শুনে অবাক হয়ে যান শিশুর বাবা-মা৷ কারণ চিকিৎসকরা জানান, কান নয়৷ খুদের হার্নিয়ার অপারেশন করেছেন তাঁরা৷
কিন্তু কীভাবে এত বড় ভুল করলেন চিকিৎসকরা? হাসপাতাল সূত্রে খবর, একই দিনে অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া ওই দুই রোগীর নাম এক৷ তাই চিকিৎসকদের হাতে আসা কাগজপত্র অদলবদল হয়ে যায়৷ তাই কানের পরিবর্তে দানিশের হার্নিয়ার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে৷ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর বিনামূল্যে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হবে বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্মীদের গাফিলতির দায় রোগীরা নেবে না৷’’ মানবাধিকার কমিশনও এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে৷ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের সদস্যরা বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্মী এবং চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই এমন কাণ্ড ঘটেছে৷’’ এই ঘটনার পর থেকে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন শিশুর পরিবারের আত্মীয়রা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.