ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ত্রিপুরার (Tripura) বিশিষ্ট চিকিৎসকের বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, যুব তৃণমূলের সভাপতি সায়নী ঘোষের (Saayoni Ghosh) সঙ্গে দেখা করেছিলেন চিকিৎসকের ছোটভাইয়ের ছেলে। এই ‘অপরাধে’ই তাঁর পৈতৃক ভিটেতে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক সুবল ভৌমিকের (Subal Bhowmick)।
মঙ্গলবার ত্রিপুরা সফরে গিয়েছিলেন সায়নী ঘোষ। তারপরই এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ সুবল ভৌমিকের। তাঁর কথা অনুযায়ী, ত্রিপুরের বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. বিকাশ রায়ের পৈতৃক ভিটেতে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, ২০ থেকে ২৫ জন চিকিৎসকের মোহনপুরের বাড়িতে ঢুকে পড়ে। সেখানে রীতিমতো তাণ্ডব চালায়। চিকিৎসকের ছোটভাই এবং তাঁর স্ত্রীকে লাঞ্ছনা করা হয়।
মঙ্গলবার সায়নী ঘোষের নেতৃত্বে আগরতলায় জনা সত্তর যুবক-যুবতী তৃণমূলে যোগ দেন। সুবলবাবু জানান, সেই সময় বিকাশবাবুর ভাইয়ের ছোটছেলে সায়নীকে দেখতে গিয়েছিলেন। সেই কারণেই তাঁর পৈতৃক ভিটেতে হামলা চালানো হয়। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, মোহনপুর বাজারে চিকিৎসকের ভাইয়ের একটি ওষুধের দোকান ছিল। তা বন্ধ করে চাবি নিয়ে নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, চাবি নিতে হলে মন্ত্রী রতনলাল নাথের কাছে গিয়ে যেন নিয়ে নেওয়া হয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন সুবল ভৌমিক। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেউ গেলে তালিবানি কায়দায় হামলা করতে বলা হয়েছে।”
উল্লেখ্য, ত্রিপুরার যে হোটেলে সায়নী ছিলেন, সেখানে খাবার চেয়েও না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিল সায়নী ঘোষের টিম। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যুব তৃণমূলের সভাপতি বলেছিলেন, “প্রথমে মেনে নেওয়া হয়েছিল। বাইরে থেকে খাবার আনানো হয়। কিন্তু পরক্ষণেই এসে জানানো হয়, রেস্তরাঁয় বসে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা করা যাবে না।” পরে আবার হোটেলে লোডশেডিও হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় তৃণমূল শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই হোটেল কর্তৃপক্ষের উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে যাতে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.