সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেশ কিছুদিন থেকেই পেটে ব্যথা হচ্ছিল এক মহিলার। নিজে ডাক্তারি ফলিয়ে কোনও লাভ হয়নি। অগত্যা সেই মহিলাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল। কিন্তু ওষুধ হিসেবে তিনি যা পেলেন, তা দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ তাঁর।
ঝাড়খণ্ডের ওই মহিলার যে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন তাঁর নাম আশরফ বাদার। রাঁচির সিংভূম জেলার ঘাটশিলা সরকারি হাসপাতালের তিনি চিকিৎসক। গত ২৩ জুলাই তাঁর কাছে ওই মহিলা পেটে ব্যথা নিয়ে গিয়েছিলেন। আর পাঁচজন চিকিৎসকের মতো রোগীকে পরীক্ষা করে প্রেসক্রিপশন লিখে দেন তিনি। ওই মহিলা বেশিদূর পড়াশোনা করেননি। ফলে প্রেসক্রিপশন তিনি পড়তে পারেননি। আর তাছাড়া ডাক্তার কী ওষুধ লিখেছেন, তা কেই বা দেখে? শুধু কখন কী খেতে হবে, তা জেনে নেয়। ওষুধের নাম নিয়ে খুব কম মানুষই মাথা ঘামায়। বলাই বাহুল্য ওই মহিলা সেই তালিকায় পড়তেন না। আর তাতেই ঘটল গন্ডগোল।
চিকিৎসকের থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে তিনি যখন ওষুধের দোকানে গিয়ে দেখালেন, দোকানদার তো অবাক। তিনি মহিলাকে জানান, ডাক্তার তো তাঁকে কন্ডোম প্রেসক্রাইব করেছেন। প্রেসক্রিপশনে তিনি যে নামটি লিখেছেন, তা কোনও ওষুধের নয়। কন্ডোমের। এমন কথা শুনে রোগীর ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। সময় নষ্ট না করে তিনি সিনিয়র ডাক্তারদের কাছে ঘটনাটি নিয়ে অভিযোগ করেন। এমন কথা শুনে অবাক সিনিয়র চিকিৎসকরাও।
ঘাটশিলা মহকুমা হাসপাতালের ইনটার্জ শংকর টুডু জানান, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। তদন্তের জন্য একটি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। তাতে রয়েছেন এক মনোবিদও। রবিবার থেকে শুরু হয়েছে কাজ। যদিও অভিযুক্ত চিকিৎসক আশরফ বাদার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর মতে, তিনি এমন কিছু কাজ নাকি করেননি। তাঁর নামে মিথ্যে রটনা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.