ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা নিয়ে দেশজুড়ে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যাতে ভেঙে না পড়ে, তার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিল দিল্লি সরকার। বিভিন্ন ‘মহল্লা’য় (এলাকায়) তৈরি করা হয়েছিল স্বাস্থ্য কেন্দ্র। কিন্তু আচমকা সেই স্বাস্থ্য কেন্দ্রেরই এক চিকিৎসকের শরীরে পাওয়া গিয়েছে করোনার জীবাণু। খবর পাওয়া মাত্র তড়িঘড়ি ওই চিকিৎসককে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের শরীরেও COVID-19-এর সন্ধান মিলেছে বলে খবর। হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে রেখে তাঁদেরও চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন উত্তর-পূর্ব দিল্লির একটি ‘মহল্লা’র স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওই চিকিৎসক। বুধবার তাঁর সোয়াব পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর জানা যায় তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরই ওই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাঁরা চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন, তাঁদের চিহ্নিত করতে শুরু করে স্বাস্থ্য দপ্তর। ১২ থেকে ১৮ মার্চ পর্যন্ত যাঁরা ওই চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে কোয়ারেন্টাইনে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া ওই চিকিৎসকের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছেন, তারও খোঁজ চলছে। পাশাপাশি তাঁর শরীরে কীভাবে করোনা বাসা বাঁধল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর বিদেশে যাওয়ার কোনও রেকর্ড রয়েছে কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, দেশে এই মুহূ্র্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ ছাড়িয়েছে। বুধবার নতুন করে দিল্লিতে ৫ করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারা ভারতে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। তার মধ্যে একজন দিল্লির বাসিন্দা। এতদিন যাঁরা বিদেশ থেকে ফিরেছিলেন, তাঁদের শরীরেই পাওয়া যাচ্ছিল COVID-19। কিন্তু এবার বিদেশযাত্রা না করেও একাধিক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই পরিসংখ্যান ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এদেশে কি গোষ্ঠী সংক্রমণ দেখা দিল? যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রক এ বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.